- প্রযুক্তি
- শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ দেখল বিশ্ববাসী
শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ দেখল বিশ্ববাসী

জাপানে অবস্থিত বিশ্বের উচ্চতম সম্প্রচার টাওয়ার টোকিও স্কাইট্রির পাশে পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যাওয়া রক্তিম চাঁদ। ছবি: রয়টার্স
বিশ্ববাসী শতাব্দীর দীর্ঘতম আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখেছে শুক্রবার। কেবল শতাব্দী নয়, ৫৮০ বছরের পর দেখা পাওয়া প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় নিয়ে থাকা এই চন্দ্রগ্রহণ উত্তর আমেরিকার দেশগুলো থেকে সবচেয়ে ভালো দেখা যায়। তবে পিনামব্রাল পর্যায়ের গ্রহণকে আমলে নিলে গতকালের চন্দ্রগ্রহণের মেয়াদ ছিল সব মিলিয়ে ছয় ঘণ্টা। শুক্রবারের চন্দ্রগ্রহণ ছিল আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।
বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১৯ মিনিটে শুরু হয় আংশিক গ্রহণ, শেষ হয় ৪টা ৪৭ মিনিটে। তবে পিনামব্রাল পর্যায়ের গ্রহণ চলে সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিট পর্যন্ত। পিনামব্রাল পর্যায়ে পৃথিবীর প্রচ্ছায়ায় না থেকে উপচ্ছায়ায় (মূল ছায়ার বাইরের অংশটুকুতে) থাকে চাঁদ। বাংলাদেশে বিকেল সোয়া ৫টার আগে-পরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেছে।
সূর্যের আলো চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয় বলে পৃথিবী থেকে চাঁদ দেখা যায়। তবে চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ, পৃথিবী এবং সূর্য একই সরলরেখায় আসে, পৃথিবী থাকে চাঁদ এবং সূর্যের মাঝামাঝি। এতে পৃথিবীর ছায়া পড়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে। সে ছায়ায় চাঁদের পুরোটা ঢাকা পড়লে বলা হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, আর অংশবিশেষের ক্ষেত্রে সেটি হয় আংশিক বা খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য অনুযায়ী, গতকাল চাঁদের ৯৭ শতাংশ সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হয়। অর্থাৎ এটি আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। শুরুতে আঁধারে ঢেকে গেলেও গ্রহণের একপর্যায়ে লালচে রং ধারণ করে চাঁদ। শেষ দিকে আবার আঁধারে ঢেকে যেতে থাকে।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় আলীকদমে চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণের আয়োজন করে। আকাশ মেঘমুক্ত থাকায় চন্দ্রগ্রহণ পরিস্কার দেখা গেছে বলে অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন