জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগছে। বাসস্থান কেন পিছিয়ে থাকবে? বর্তমানে গৃহস্থালির কাজ সহজতর করতে রেফ্রিজারেটর, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি বিভিন্ন হোম অ্যাপ্লায়েন্স রয়েছে, যা আধুনিক ও ব্যস্ত জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে।        

উদ্ভাবন কখনো থেমে থাকে না, বরং সর্বদা উন্নত হতে থাকে। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে সামনে রেখে স্বনামধন্য ইলেক্ট্রোনিক্স ব্র্যান্ড এলজি ‘উন্নত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শক্তি এবং পরিবেশ (এসএইচইই)’ পলিসি নিশ্চিতের মাধ্যমে হোম অ্যাপ্লায়েন্স শিল্পকে আরও উন্নত করে তুলতে কাজ করছে। এই পলিসি দ্বারা পানি সম্পদের সর্বাধিক ব্যবস্থাপনা এবং রাসায়নিক বর্জ্য যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছে ব্র্যান্ডটি। 

বর্তমান সময়ে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে একটি। ফ্রিজের সর্বশেষ উদ্ভাবন হলো এর দরজাকে স্বচ্ছ করা, যাতে করে ব্যবহারকারী ফ্রিজের দরজা না খুলেই এবং অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রার ভারসাম্য ব্যাহত না করেই ভেতরের সব দেখতে পারেন। এলজির ইন্সটাভিউ ডোর-ইন-ডোর™ রেফ্রিজারেটরের মূলে রয়েছে এই প্রযুক্তি। 

ইন্সটাভিউ’র মাধ্যমে ব্যবহারকারী মসৃণ কাঁচের প্যানেলযুক্ত দরজায় দুইবার ট্যাপ করে ভেতরে অবস্থা দেখতে পারেন। ডোর-ইন-ডোর™ বলতে কাঁচের প্যানেলযুক্ত প্রধান দরজার ওপর আরেকটি দরজাকে বোঝায়, যা দুধ, পনির, স্ন্যাকস ইত্যাদি ঘন ঘন ব্যবহৃত খাবার রাখার অতিরিক্ত জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই ফ্রিজে রয়েছে অনন্য ডোর কুলিং+™ প্রযুক্তি, যা ফ্রিজের ভেতরকে দ্রুত ঠান্ডা করার মাধ্যম খাবারের স্বাদ ও গুণমান বজায় রাখে। 

এ ছাড়া এলজি ৪০০ লিটার ফ্রিজগুলোয় হাইজিন ফ্রেশ+ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি একটি ৫ স্তরের জীবাণুমুক্তকরণ এবং গন্ধমুক্তকরণ পদ্ধতি, যা ৯৯.৯৯৯৯% ব্যাকটেরিয়া এবং দুর্গন্ধ দূর করে।       

আরেকটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন হলো ইউভি এলইডি লাইটের ব্যবহার, যা ৯৯.৯৯৯৯% ব্যাকটেরিয়া দূর করে। এলজির দুটি হোম অ্যাপ্লায়েন্সে ইউভি স্টেরিলাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। এলজি ইন্সটাভিউ ডোর-ইন-ডোর™ রেফ্রিজারেটরে আছে ইউভি ন্যানো™ পদ্ধতি, প্রতি ১০ মিনিট অন্তর অন্তর ওয়াটার নজেল পরিষ্কারের মাধ্যমে ২৪/৭ জীবাণুমুক্তকরণ সুবিধা প্রদান করে। 

এছাড়া এলজি পিউরকেয়ার ওয়াটার পিউরিফায়ারের এভারফ্রেশ ইউভি+ প্রযুক্তি প্রতি ৬ ঘণ্টা অন্তর অন্তর ৭৫ মিনিটের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানিকে জীবাণুমুক্ত করে। ওয়াটার পিউরিফায়ারগুলোয় থাকে অনন্য এক ডুয়াল প্রোটেকশন এসএস ট্যাঙ্ক, যা ৯৪.৪% ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সক্ষম।      

অপরদিকে, স্টিম+™ যুক্ত এলজি এআই ডিরেক্ট ড্রাইভ ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিনে আছে স্টিম+™ প্রযুক্তি, যা ৯৯.৯% অ্যালার্জেন দূর করে এবং ভাঁজ পড়া থেকে কাপড়কে সুরক্ষিত রাখে। বিশ্ব বিখ্যাত ব্রিটিশ অ্যালার্জি ফাউন্ডেশন (বিএএফ) এলজির স্টিম+™ প্রযুক্তিকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। কারণ, এই প্রযুক্তি কাপড়ের ৯৯.৯% ময়লা দূর করতে এবং এর ইন্টারটেক পরীক্ষিত মোশন প্রযুক্তি ৩০% পর্যন্ত ভাঁজ পড়া রোধ করতে সক্ষম। এই ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারকালে এলজির ইজডিসপেন্স™ প্রযুক্তি পরিমাণ মতো ডিটারজেন্ট সরবরাহ করে ও এর অপচয় রোধ করে। এতে করে মেশিনে বার বার ডিটারজেন্ট ভরার প্রয়োজন নেই, কারণ মেশিনের সফটনার কম্পার্টমেন্ট অতিরিক্ত ৩৫ গুণ ডিটারজেন্ট ধারণে সক্ষম। 

এলজি নিওশেফ মাইক্রোওয়েভে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ইজিক্লিন পদ্ধতি, যা ওভেনের ভেতরে লেগে থাকা ৯৯.৯% ব্যাকটেরিয়া রোধ করতে সক্ষম। সাধারণ ওভেন পরিষ্কারের জন্য ৭ বার সোয়াইপ প্রয়োজন কিন্তু এলজি নিওশেফ ওভেন মাত্র ৩ বার সোয়াইপে পরিষ্কার হয়ে যায়, ফলে অনেকটুকু সময় বেঁচে যায়।  

প্রযুক্তি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। বাসস্থানে উন্নত প্রযুক্তি জীবনে করে তোলে আরও উন্নত। আর নিয়মিত উদ্ভাবন প্রযুক্তিকে করে তোলে আরও গতিশীল, উন্নত ও দক্ষ, যা আমাদের বাসস্থানকে করে তোলে আরও আধুনিক। এলজি যেখানে, জীবন তো আরও সহজ হবেই।