- প্রযুক্তি
- কয়েকটি ঘটনায় সরকারের অবস্থানে টিআইবির উদ্বেগ
কয়েকটি ঘটনায় সরকারের অবস্থানে টিআইবির উদ্বেগ

দেশে চলমান বেশ কয়েকটি ঘটনায় সরকারের নেওয়া অবস্থান ও কার্যক্রমের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- সিলেট, সুনামগঞ্জসহ বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সরকারের অপ্রতুল কার্যক্রম, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত ও চাপ বৃদ্ধিতে প্রেস কাউন্সিল আইনের খসড়া প্রণয়ন, বিনা শর্তে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দেশে আনার সুযোগদান প্রভৃতি।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা দুর্যোগ মোকাবিলা ও পরিবেশ সুরক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ; সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে একটি সুশাসিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জোরালো আহ্বান জানান।
সভা শেষে এক ঘোষণাপত্রে বন্যা উপদ্রুত এলাকার দুর্যোগ মোকাবিলায় ঘাটতি ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে আরও সক্রিয় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের সম্মিলিতভাবে ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা, জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় দ্রুত এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার প্রতিপালনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ঘোষণাপত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নিবর্তনমূলক আইনের পাশাপাশি 'প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) আইন, ২০২২'-এর খসড়ার মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা তথা সব নাগরিকের বাক্-স্বাধীনতার চর্চার ক্ষেত্রে দেশে যে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া খসড়া 'উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২২' নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে, যা ব্যক্তি-তথ্য গোপনীয়তা ও সুরক্ষার নামে ব্যক্তির নিরাপত্তা ও স্বাধীন মত প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। সর্বোপরি প্রস্তাবিত 'গণমাধ্যম (চাকরির শর্তাবলি) আইন, ২০২১'-এ গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির সুরক্ষা, সংশ্নিষ্ট সুবিধাদি ও অধিকার নিশ্চিত করা হয়নি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সদস্যরা।
বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে দেওয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক, সংশ্নিষ্ট আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে বলা হয়, অবিলম্বে এটি বাতিল করে পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন