- প্রযুক্তি
- টাওয়ার কোম্পানি এবি হাইটেক অধিগ্রহণ করলো পিনাকল
টাওয়ার কোম্পানি এবি হাইটেক অধিগ্রহণ করলো পিনাকল

ছবি: ফাইল
দেশের মোবাইল ফোন টাওয়ার কোম্পানি এবি হাইটেক (এবিএইচটি) অধিগ্রহণ করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি পিনাকল টাওয়ারস। গত ৪ অক্টোবর এই অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এবি হাইটেকের নতুন নাম হচ্ছে ফ্রন্টিয়ার টাওয়ার্স বাংলাদেশ লিমিটেড। এর মাধ্যমে ফিলিপাইনের টাওয়ার ব্যবসায় জড়িত পিনাকল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ খাতে প্রবেশ করল। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, এবি হাইটেকের ৬৩ শতাংশ শেয়ার কিনেছে পিনাকল। নির্মাণাধীনসহ দেশে এবি হাইটেকের টাওয়ার সংখ্যা ৩৯৪টি। এরমধ্যে ২১০টি টাওয়ারের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। কাজ চলমান রয়েছে ১৮৪টি টাওয়ারের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালে গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম কেকেআর পিনাকলে বিনিয়োগ করে। পিনাকলের স্থানীয় পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে রয়েছেন- কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও এবিএইচটির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, জেনেক্স ইনফোসিসের চেয়ারম্যান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আদনান ইমাম, সেবা গ্রুপের (বাংলালিংকের পূর্বসূরি সেবা টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেছিল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ চৌধুরী এবং স্ট্র্যাটেজিক হোল্ডিংসের ভাইস চেয়ারম্যান শাহনুল হাসান খান।
পিনাকলের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্যাট্রিক ট্যাংনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ও ডিজিটাল সংযোগের অব্যাহত সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত।
এবিএইচটির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের বাজারে পিনাকলের প্রবেশ দেশের টেলিকম সেক্টরের জন্য এটি একটি দারুণ খবর ও সুযোগ।
দেশে মোবাইল টাওয়ার কোম্পানি রয়েছে চারটি। অন্য তিনটি হলো ইডটকো, সামিট টাওয়ার এবং কীর্তনখোলা টাওয়ার। এসব কোম্পানির মোট টাওয়ার ১৬ হাজার ২৬৩টি। এর মধ্যে ইডটকোর মোট টাওয়ার ১৪ হাজার ১২১টি। এর মধ্যে পূর্ণ টাওয়ার ১৩ হাজার ৬০৯টি, কাজ চলমান ৭৮টির এবং কাজ শুরু হবে ৪৩৪টির। সামিটের টাওয়ার রয়েছে এক হাজার ৩৩৬টি।। পূর্ণ টাওয়ার এক হাজার ৩টি, কাজ চলমান ২৫৭টির এবং কাজ শুরু হবে ৭৬টির। কীর্তনখোলার রয়েছে ৪১২টি। এরমধ্যে পূর্ণ টাওয়ার ৩১৪টি, কাজ চলমান ৭৭টি এবং কাজ শুরু হবে ২১টির। আর চার মোবাইল ফোন অপারেটরের টাওয়ার রয়েছে ২২ হাজার ২৬৪টি। এরমধ্যে চার হাজার ১০২টি টাওয়ার অপারেটররা শেয়ার করেছে। গ্রামীণফোনের নিজস্ব টাওয়ার ১০ হাজার ২৯৮টি, শেয়ার করা টাওয়ার দুই হাজার ২৮১টি। রবির নিজের টাওয়ার দুই হাজার ৪৬৬টি আর শেয়ার করা ৭৩১টি। বাংলালিংকের নিজস্ব টাওয়ার ছয় হাজার ১৩৮টি ও শেয়ার করা এক হাজার ৯০টি। টেলিটকের নিজস্ব টাওয়ার তিন হাজার ৩৬২টি, কোনো শেয়ার টাওয়ার নেই টেলিটকের।
মন্তব্য করুন