- প্রযুক্তি
- টিকটকের দক্ষিণ এশিয়ার পাবলিক পলিসি প্রধান বাংলাদেশি ফেরদৌস মোত্তাকিন
টিকটকের দক্ষিণ এশিয়ার পাবলিক পলিসি প্রধান বাংলাদেশি ফেরদৌস মোত্তাকিন

ফেরদৌস মোত্তাকিন
বিশ্বব্যাপী ছোট ভিডিও’র জনপ্রিয় প্লাটফর্ম ‘টিকটকে’র দক্ষিণ এশিয়ার গভর্ণমেন্ট রিলেশন অ্যান্ড পাবলিক পলিসি প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলী ও পাবিলক পলিসি বিশেষজ্ঞ ফেরদৌস মোত্তাকিন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর টিকটক থেকে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া অংশের ক্ষেত্রে টিকটক প্লাটফর্ম থেকে আপত্তিকর ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন এসেছে। তরুণ প্রজন্মের জন্য এ প্লাটফর্মে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সরকারের সঙ্গেও নিবিড়ভাবে কাজ করছেন তিনি।
ফেরদৌস মোত্তকিন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে টিকটকের বাংলাদেশ বিষয়ক গভর্ণমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পান। সফলভাবে এ দায়িত্বপালনের পর তাকে ‘টিকটকে’র দক্ষিণ এশিয়ার গভর্ণমেন্ট রিলেশন অ্যান্ড পাবলিক পলিসি প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের সবগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে বাংলাদশি নাগরিক হিসেবে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পাবলিক পলিসি বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব একমাত্র ফেরদৌস মোত্তাকিনই দায়িত্ব পালন করছেন।
একজন বাংলাদেশি নাগিরকের আন্তর্জাতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগকে অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদশি একজন নাগরিককে টিকটক, ফেসবুকের মত প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের দায়িত্ব দেওয়ার ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশের সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা, সামাজিক মূল্যবোধ সবকিছু বোঝেন। যে কারণে তাদের সহজে বাস্তব অবস্থা বোঝানা সম্ভব হয় এবং দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসে।
তিনি আরও বলেন, টিকটক দ্রুততম সময়ে প্রায় ৫০ লাখ আপত্তিকর ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে, এটাই তার প্রমাণ। বিশ্বের অন্যান্য প্লাটফর্মও বাংলাদেশি নাগরিকদের পাবলিক পলিসি’র মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিলে তা অবশ্যই একইভাবে ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
কানাডার বিখ্যাত সিমন ফ্র্যাসার ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেটিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া ফেরদৌস মোত্তাকিনের রয়েছে সাফল্যমণ্ডিত উজ্জ্বল কর্মজীবন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের অপারেটর ও অন্যান্য সেবাদাতদা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ’তে টানা দশ বছর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি এশিয়ার বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশের হেড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি চীনের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েতে “পিএমও প্রজেক্ট ম্যানেজার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মন্তব্য করুন