- প্রযুক্তি
- ভবিষ্যতে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলার প্রস্তুতি নিন: প্রধানমন্ত্রী
ভবিষ্যতে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলার প্রস্তুতি নিন: প্রধানমন্ত্রী

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি- ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কয়েক দিন আগে বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে, তবে বাংলাদেশ কোয়ালিফাই করতে পারেনি। আশা করি, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে এবং তোমাদের (ফুটবলারদের) নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে।'
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক অনূর্ধ্ব-১৭ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা অনূর্ধ্ব-১৭ এর রানার্সআপ ও চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে ট্রফি এবং পুরস্কার বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।বৃহস্পতিবার রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খবর বাসসের।
ফুটবল টুর্নামেন্টে উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ের ১ লাখ ১০ হাজার ৫৫২ ছেলে ও মেয়ের অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, 'এটি একটি বিস্ময়কর ঘটনা। আমি মনে করি, বিশ্বে এমন আর কোনো দেশ নেই, যেখানে এত বিপুল সংখ্যক ফুটবলার এ ধরনের টুর্নামেন্টে অংশ নেয়।'
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর সরকার খেলাধুলায় মানুষকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল আমাদের সন্তানদের ফুটবল, ক্রিকেট এবং অন্যান্য খেলাধুলাকে আরও উৎসাহিত করা। আমাদের শিশুরা যত বেশি খেলাধুলায় নিজেদের নিয়োজিত করবে, আমরা তত বেশি সুবিধা পাব।'
খেলাধুলার সার্বিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য খেলাধুলা নিশ্চিত করা।
শেখ হাসিনা বলেন, ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ৪০ ছেলে এবং ৪০ মেয়েকে প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) তিন মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকারের প্রথম মেয়াদে ক্রিকেটে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা অর্জন করেছিল। সরকার ফুটবলের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করছে এবং নারীদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করছে।
দেশের প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম এবং প্রতিটি জেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণের পাশাপাশি একাডেমি নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৫৬টি জেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। তাঁরা প্রতিটি বিভাগে বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করবেন।
সরকারপ্রাধান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের বিশ্বমানের ক্রীড়ামঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা রয়েছে। এ ছাড়া তৃণমূলে খেলাধুলা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে সুইমিং পুল, শুটিং রেঞ্জ, কাবাডি ও ভলিবল স্টেডিয়াম এবং স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করছেন বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনা নিজেকে ক্রীড়াপ্রেমী পরিবারের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করে জানান, তাঁর দাদা শেখ লুৎফর রহমান, পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং দুই ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামাল ফুটবলার ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী রংপুর বিভাগ ও খুলনা বিভাগের মধ্যকার নারীদের ফাইনাল ফুটবল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা প্রত্যক্ষ করেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন