- প্রযুক্তি
- নোবিপ্রবিতে হলের ছাদে ঝুলছিল ছাত্রের লাশ, মামলা
নোবিপ্রবিতে হলের ছাদে ঝুলছিল ছাত্রের লাশ, মামলা

প্রতীকী ছবি
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) একটি ছাত্রাবাস থেকে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল হলের ছাদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।
নিহত ছাত্রের নাম আপ্রুসী মারমা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন আবদুস সালাম হলের ২১২ নম্বর কক্ষে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার অপমৃত্যুর মামলা করেছেন নিহতের বড় ভাই তংজ সাই মারমা।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহত আপ্রুসী খাড়ড়াছড়ির সদর উপজেলার গুগড়াছড়ি গ্রামের সুইথোয়াই মারমা ও ক্রাইসা মারমা দম্পতির ছেলে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহতের সহপাঠী নিজাম উদ্দিন বলেন, নিহত আপ্রুসী আবদুস সালাম হলের ছাত্র হলেও অধিকাংশ সময় আবদুল মালেক উকিল হলে খাবার খেতে যেতেন। সেখানে তার বন্ধু ও বড় ভাইদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে তা বলতে পারছি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক সহপাঠী বলেন, কিছুদিন আগে আপ্রুসীর প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। এর পর সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। ওই কারণেও সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক নেওয়াজ মো. বাহাদুর বলেন, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা কয়েকজন গিয়ে আপ্রুসীকে ছাদে পানির ট্যাঙ্কে ওঠার সিঁড়ির সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাই। পুলিশে খবর দিলে তারা এসে লাশ নিয়ে যায়। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে পারিনি।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এটা আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে আপ্রুসীর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন