সিডস ফর দ্য ফিউচারে বাংলাদেশ

ডিজিটাল দক্ষতাকে স্মার্ট করার সম্মিলিত পদক্ষেপের লক্ষ্যে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার সামিট ২০২৩’ পর্বের আয়োজন করে হুয়াওয়ে, আসিয়ান ফাউন্ডেশন ও সাউথ ইস্ট এশিয়া মিনিস্টারস অব এডুকেশন অর্গানাইজেশন (এসইএএমইও)।

কানেক্ট, কালটিভেট, কন্ট্রিবিউট ফর ইনক্লুসিভ ডিজিটাল ট্যালেন্ট গ্রোথ ইন এশিয়া প্যাসিফিক শিরোনামে সামিটে ১৯টি এশিয়া প্যাসিফিক দেশ থেকে ৯১ জন সরাসরি অংশ নেয়।

সিডস ফর দ্য ফিউচার ফ্ল্যাগশিপ ট্যালেন্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে এ অঞ্চলের ডিজিটাল বিবর্তনে তরুণরাই ভবিষ্যৎ– সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। প্রসঙ্গত, ১৯টি দেশের ৯১ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে বাংলাদেশের ৬ জন বিজয়ী শিক্ষার্থী চীনে অনুষ্ঠিত সিডস ফর দ্য ফিউচার সামিটে অংশ নেয়। সামিটে প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, হুয়াওয়ে ব্র্যান্ডের বিশ্বমানের গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) সেন্টার ও সদরদপ্তর পরিদর্শন এবং ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক চীনের ঐতিহ্য সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন এবারের থিমের গুরুত্ব তুলে ধরে জানালেন, তৃতীয়বারের মতো এশিয়া প্যাসিফিক সিডস ফর দ্য ফিউচার সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিবছর নতুন কিছু নিয়ে আরও বেশি অংশগ্রহণকারী যুক্ত হচ্ছেন, যা এ প্রোগ্রামকে আরও এগিয়ে নিচ্ছে। সহযোগিতা, অঙ্গীকার ও যুব ক্ষমতায়ন– তিনটি বিষয় সামিটের মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে বিবেচিত। সামিটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে ও ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস ইউনিয়ন (আইটিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আইসিটি পলিসি অ্যান্ড রেগুলেশন, যৌথ গবেষণা, অন্তর্ভুক্তিমূলক অবকাঠামো, ডিজিটাল সক্ষমতা তৈরি, নারী ও যুব ক্ষমতায়ন এবং ডিজিটাল অনুশীলন শেয়ারিংয়ের মতো ডিজিটাল সহযোগিতার ছয়টি মূল বিষয়কে গুরুত্ব দিতে যৌথ উদ্যোগ ঘোষণা করে।

আসিয়ান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডক্টর পিতি শ্রীসঙ্গমের নেতৃত্বে আলোচনা সভার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা হয়। আলোচনা সভায় ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) বিশেষজ্ঞ, হুয়াওয়ের প্রতিনিধি এবং সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে।

সভায় আগামী নেতৃত্বের মধ্যকার দূরত্ব ঘুচিয়ে, ডিজিটাল দক্ষতা ব্যবহার এবং আজীবন এমন দক্ষতাকে লালন করার মাধ্যমে তাদের নেতা হয়ে ওঠার প্রতিবন্ধকতা দূর করার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।