নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
আনন্দের এক দিন

দারুণ আনন্দে কেটেছে দিনটি
এস আহমেদ ফাহিম
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮:০০
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম বিভাগ হিসেবে পথচলা অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের। সেমিস্টারের ক্লাস, পরীক্ষা, প্রেজেন্টেশন, অ্যাসাইনমেন্ট, ল্যাব এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে নিত্যদিনের ঘটনা। ব্যস্ততায় ভরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনকে আনন্দময় ও প্রাণবন্ত করতে আয়োজন করা হয়েছিল অণুভোজের। দিনটি ছিল ১৯ সেপ্টেম্বর। রোদ, বৃষ্টির মাঝে আয়োজন ঘিরে সবার মধ্যে বিরাজ করে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। বিভাগের অনার্সের পাঁচটি ব্যাচ ও মাস্টার্সের একটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় এ আয়োজন। কারও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন সমাপ্তির পথে, কেউবা শুরুর পর্যায়ে, কারও মধ্যভাগে। ব্যাচের ভিন্নতা থাকলেও সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আয়োজন যেন উৎসবের আমেজে পরিণত হয়। আয়োজন ঘিরে উচ্ছ্বসিত ছিল সবাই। সকাল থেকে শুরু হয় রান্নার আয়োজন। হরেক রকম খাবারের পসরা সাজানো হয়। দুপুরে খানিক বৃষ্টির আগমনে আয়োজন ভিন্নতা পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবনে বিভাগের নবম থেকে ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একে একে জড়ো হতে থাকেন। বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারীরাও এ আয়োজনে শামিল হন। খাওয়ার পর্ব শেষে চলে ছবি তোলা আর আড্ডা পর্ব। খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষে শুরু হয় প্রতিযোগিতা পর্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে শুরু হয় শর্ট পিচ ক্রিকেট ম্যাচ। বিভাগের ছেলেরা এই আয়োজনে ছয়টি টিমে ভাগ হয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামে। বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক ড. অতুন সাহা ও প্রভাষক নিক্কণ সরকারও এতে অংশ নেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয় বিভাগের ১৩তম ব্যাচ এবং রানার্সআপ হয় ৯ম ব্যাচ। মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল ভিন্ন আয়োজন– বাস্কেটবল নিক্ষেপ, পিলো পাসিং ও ফুটবলে ফ্রি কিক। বাস্কেট বল নিক্ষেপে প্রথম তাসকিয়া হাসনাত, দ্বিতীয় সুমি ও তৃতীয় হন তাসনিম। পিলো পাসিংয়ে প্রথম অনন্যা মজুমদার, দ্বিতীয় সুপ্রীতি বিশ্বাস ও তৃতীয় হন সানজিদা হোসেন অর্পা। ফ্রি কিকে প্রথম মোর্শেদা, দ্বিতীয় সোহরাত এবং তৃতীয় ফারহানা হন মনসুর প্রিয়া। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে। সন্ধ্যায় বসে গানের আসর। নোবিপ্রবির ফাউন্টেনপেনখ্যাত শহীদ মিনারে এ গানের আসর হয়ে ওঠে জমজমাট। গানের আসরের প্রধান আকর্ষণ ছিল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের পরিবেশনা। বিভাগের শিক্ষার্থীরা গানের সুরে সুর মেলান। বিভাগের শিক্ষার্থীরাও গান পরিবেশন করেন।
আয়োজনের শেষ পর্যায়ে চলে পুরস্কার বিতরণী পর্ব। উপস্থিত ছিলেন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।