ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) অন্তর্বতী আহ্বায়ক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

সাব্বিন হাসান

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২১:২০

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে সদস্যদের আপত্তির মুখে ২০ আগস্ট হঠাৎ করেই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) কার্যনির্বাহী কমিটির সব সদস্য পদত্যাগ করেন। হুট করেই সংগঠনটি নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ে।

জরুরি পরিস্থিতি সামলাতে সোমবার রাজধানীতে সংগঠনের উদ্যোগে জরুরি ভিত্তিতে তলবি সভা ডাকা হয়।

বিসিএস সভাপতি কাউন্সিলের নেতাদের সঙ্গে সভায় অংশ নেন সাধারণ সদস্যরা। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিসিএস’র প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিসহ অন্তর্বতী আহ্বায়ক মনোনীত করা হয় স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে। তিনি ২০২২-২৪ কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়ে পরিচালক মনোনীত হন।

অন্তর্বতী আহ্বায়ক (বিসিএস) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, বুধবার পুরো কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী কমিটির কর্মপরিকল্পনা জানানো হবে।

জরুরি তলবী সভায় সংগঠনের (বিসিএস) সাবেক সভাপতি  ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, শাহিদ উল মুনীর, এস এম ইকবাল, বিগত সময়ের কার্যনির্বাহী কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য ছাড়াও ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান শাফকাত হায়দার উপস্থিত ছিলেন। তলবি সভায় সংগঠনের শতাধিক সাধারণ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

আ.লীগ সরকারের সময়ে বিসিএস নেতৃত্বের দুর্বলতার সমালোচনা করে সবুর খান বলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি দেশে আইটি খাতের গোড়াপত্তন করে। বিশ্বের আইটি ব্যবসায়ীদের জোট আইটিইউ’র সদস্য। আইটি পণ্য বিক্রেতা হিসেবে আমাদের ট্যাক্স সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, পরে তা কন্টিনিউ করা হয়নি। আমাদের অনেকেই হাইটেক পার্কে জায়গা নিয়েছে। আমাদের করমুক্তির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু তা পাইনি। এমনকি প্রতিবাদও করতে পারিনি। আমাদের হজম করতে হয়েছে। আমরা সবাই মিলে আপনাদের জন্য কথা বলতে চাই। আমরা চাই আপনারা সবাই সমিতির জন্য সত্যিকার অর্থে কন্ট্রিবিউট করবেন।

বহুল আলোচিত আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের দীর্ঘমেয়াদী শাসনামলের অবসানের পর সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের দাবি ওঠে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যিক সব সংগঠনকে রাজনীতি মুক্ত করতে আন্দোলন চলছে। সাংগঠনিক কার্যক্রমকে সক্রিয় করে সেক্রেটারিয়েটকে শক্তিশালী করতে দেশের চারটি আইটি সংগঠনের মধ্যে বিসিএস প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করল।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×