অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মিক্সড ডাবলসে হেরে গ্র্যান্ড স্ল্যামকে বিদায় জানিয়েছেন সানিয়া মির্জা। মেলবোর্ন পার্কের কোর্টে ক্যারিয়ারের শেষ গ্রান্ডস্লামে তাই আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ৩৬ বছর বয়সী ভারতের এই টেনিস তারকা। এরপর থেকেই বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ শুভেচ্ছা জানাচ্ছে তাকে। কিন্তু স্বামী শোয়েব মালিকের বার্তা কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছিল না। দু'জনের মধ্যে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক দূরত্বের জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল এতে। 

মেলবোর্নে ভারতীয় টেনিস তারকা যখন বিদায়ী ভাষণ দিচ্ছিলেন, সিলেটে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার তখন ব্যস্ত বিপিএলে তার দল রংপুর রাইডার্সের ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে। তাই হয়তো সময় পাননি। তবে ম্যাচ শেষে সানিয়াকে নিয়ে আবেগঘন টুইট করেছেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার। শোয়েব মালিক জানিয়েছেন, স্ত্রীর কৃতিত্বে তিনি গর্বিত।

টুইটে শোয়েব লিখেছেন, 'খেলাধুলোর জগতে সব নারীদের কাছেই তুমি আশার প্রতীক। ক্যারিয়ারে যত কিছু অর্জন করেছ, তার জন্য অত্যন্ত গর্বিত। তুমি অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা। এভাবেই শক্তিশালী হয়ে আগামী দিনে এগিয়ে যাও। অবিশ্বাস্য টেনিসজীবনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।'

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে রোহান বোপান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলা সানিয়া হারেন ব্রাজিলের লুইসা স্তেফানি ও রাফায়েল মাতোস জুটির কাছে। মিক্সড ডাবলসে খেলার ফল ৬-৭ (২-৭), ২-৬। ফাইনাল হারের পর আবেগ আর ধরে রাখতে পারেননি। কেননা এটিই গ্র্যান্ডস্ল্যাম ক্যারিয়ারে তার শেষ ম্যাচ ছিল। তাই ক্যারিয়ারের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ৩৬ বছর বয়সী এ টেনিস তারকা। তিনি বলেন, 'আমি কাঁদছি। এটি আসলে খুশির অশ্রু। চোখের এই জল দুঃখের নয়। চাইলে আরও গোটা দুয়েক প্রতিযোগিতা খেলতেই পারতাম। ২০০৫ সালে মেলবোর্ন থেকেই টেনিস যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন আমার বয়স ছিল ১৮। সেরেনা উইলিয়ামসের সঙ্গে খেলেছিলাম। আমার জীবনে রড লেভার অ্যারেনার আলাদা জায়গা রয়েছে। গ্র্যান্ডস্ল্যাম ক্যারিয়ার শেষ করার জন্য এর থেকে ভালো জায়গা আমার কাছে নেই।'

২০০৫ সালে গ্র্যান্ডস্ল্যাম ক্যারিয়ার শুরু হয় সানিয়ার। ব্যক্তিগতভাবে কোনো অর্জন না থাকলেও জুটি বেঁধে জিতেছেন একের পর এক শিরোপা। নারীদের দ্বৈত বিভাগে একটি করে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন শিরোপা আছে তার।