আলকারাজ-জকোভিচ ফাইনাল আজ
কুড়ির তারুণ্য বনাম ছত্রিশের অভিজ্ঞতা

শিরোপার লড়াইয়ে নামছে টেনিসের দুই প্রজন্মের দুই তারকা। ছবি: ফাইল
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩ | ০৮:১০
বয়সের পার্থক্য ষোলো। ৩৬ বছর বয়সী নোভাক জকোভিচের সঙ্গে ২০ বছর বয়সী কার্লোস আলকারাজের মধ্যে শুধু বয়সের পার্থক্যই নয়, গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের সংখ্যাতেই আছে অনেক ব্যবধান। যেখানে সার্বিয়ান টেনিস তারকা ২৩টি গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছেন, সেখানে স্প্যানিয়ার্ড আলকারাজের শোকেসে মাত্র একটি গ্র্যান্ডস্লামের ট্রফি। আর ২০০৮ সালে জকোভিচ যখন ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে শিরোপা জিতেছিলেন, তখন পঞ্চম বার্থডে পালন থেকে তিন মাস দূরে ছিলেন আলকারাজ।
শৈশবের সেই আলকারাজ কিনা এখন জকোভিচকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। ট্রফির সংখ্যা, পারফরম্যান্স, অভিজ্ঞতা সবকিছুতেই যোজন যোজন এগিয়ে জকোভিচ। উইম্বলডনের পুরুষ এককের ফাইনালে আজ আলকারাজের বিপক্ষে নিরঙ্কুশ ফেভারিট এ সার্বিয়ান। কিন্তু বর্তমান টেনিসের সেনসেশন, যাঁকে রাফায়েল নাদালের উত্তরসূরি ভাবা হচ্ছে, সেই আলকারাজকে নিয়েই বেশি শোরগোল টেনিসবিশ্বে। অল ইংল্যান্ড কোর্টে টেনিসের এক নম্বর তারকা আলকারাজের সঙ্গে রোববার জকোভিচের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচটিকে বোদ্ধারা আখ্যায়িত করেছেন এভাবে– ‘ইয়াং স্টার বনাম ওল্ড গাই’।
ইতিহাস না নতুন প্রজন্ম; জকোভিচ আর আলকারাজের লড়াইয়ের পর এর একটির উত্তর মিলবে। আজ জিতলে রজার ফেদেরারের সমান উইম্বলডনে আটটি ট্রফির মালিক হবেন ৩৬ বছর বয়সী জকোভিচ। একই সঙ্গে ক্যারিয়ারের ২৪তম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের কীর্তিও গড়বেন তিনি। পুরুষ ও নারী মিলিয়ে টেনিসের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ডস্লাম জেতা সাবেক অস্ট্রেলিয়ান নারী খেলোয়াড় মারগারেট কোর্টের পাশে নাম লেখাবেন জকোভিচ।
একই সঙ্গে রোববার জিতলে ১৯৬৯ সালের পর প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে ক্যালেন্ডার স্লাম জিতবেন তিনি। রেকর্ড ৩৫টি গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালের সামনে যেখানে দাঁড়ানো জকোভিচ, সেখানে এই ঘাসের কোর্টের ইভেন্টি আলকারাজের জন্য চতুর্থ। জিতলে জকোভিচ উইম্বলডনে হবেন সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন, আর আলকারাজ জিতলে বরিন বেকার এবং বিয়ন বর্গের পর তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ টেনিস তারকা।
অভিজ্ঞ এবং তারুণ্যের এ লড়াইয়ের আগে ঘুরেফিরে আসছে গত জুনে ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনাল ম্যাচটি। সার্বিয়ান তারকার বিপক্ষে শেষ চারের লড়াইয়ের আগে দুশ্চিন্তায় শরীর ভেঙে পড়েছিল আলকারাজের। শুক্রবার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর যখন জানলেন জকোভিচের সামনে পড়তে হবে, তখন এ কথাটি স্বীকার করেন তিনি।
উইম্বলডনে টানা ৩৪ ম্যাচ জিতেছেন এবং ২০১৩ সালের পর সেন্টার কোর্টে কখনও না হারা জকোভিচকে এবার আর ভয় পান না দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের সামনে দাঁড়ানো আলকারাজ, ‘আমি বিশ্বাস করি, এখানে তাঁকে হারাতে পারব। সবাই জানে, তিনি একজন কিংবদন্তি। তিনি সত্যিই কঠিন হতে যাচ্ছেন। আমি লড়ব, আমার নিজের ওপর বিশ্বাস আছে। নোভাকের বিপক্ষে খেলা হতে যাচ্ছে বিশেষ। ভয় পাওয়ার কোনো সময় নেই, ক্লান্তিরও অবকাশ নেই।’