
তার গোয়েন্দা চরিত্রে পাওয়া যায় প্রখর বুদ্ধিদীপ্তির ছাপ। অনেক চরিত্রই তিনি সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু কেন জানি তাদের মধ্যে মিস মার্পেল আমার মনোযোগ কেড়েছে সবার চেয়ে বেশি। ঘটনার গভীরে গিয়ে যেভাবে এই নারী গোয়েন্দা রহস্য উন্মোচন করেন, তা আমাকে মুগ্ধ করে। অনেকে বলেন, চরিত্র পাঠককে দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করায়। যারা এ কথা বলেন, আমি তাদের সঙ্গে একমত। আগাথা ক্রিস্টি মিস মার্পেলের মতো চরিত্র তৈরি করেছিলেন বলেই হয়তো কৈশোর থেকে আমি তার লেখার মুগ্ধ পাঠক। এই একটি চরিত্র আমাকে দিনের পর দিন অভিভূত করে রেখেছে। যে জন্য একই উপন্যাস বারবার পড়েও প্রতিবার নতুন করে রহস্য উন্মোচনের আনন্দ পেয়েছি। কারও ছায়া থেকে, নাকি চরিত্রের পুরোটাই কাল্পনিক- তা জানার সুযোগ হয়নি। কিন্তু এ চরিত্রের যে সম্মোহনী শক্তি আছে, তা আগাথা ক্রিস্টির পাঠকরা স্বীকার করবেন। তার রহস্য উন্মোচনের প্রতিটি ধাপ পাঠকমাত্র নিঃশ্বাস বন্ধ করে অতিক্রম করেন। বই পড়ার সময় কী হবে, কে খুনি- এমন অনেক প্রশ্নই মনে দোলা দিত। তারপর যখন তার গোয়েন্দা জালে অপরাধী ধরা পড়ত; একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস বেরিয়ে আসত ভেতর থেকে। এটাই হলো গোয়েন্দা উপন্যাসের মজা। আর এ কারণেই হয়তো ছোটবেলায় মিস মার্পেলের মতো গোয়েন্দা হওয়ার বাসনা ছিল। গোয়েন্দা হতে না পারলেও মিস মার্পেলকে ভুলে থাকা যায়নি।
মন্তব্য করুন