শুধু 'লাইক' নয়
প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৬
সৈয়দ রবিউস সামস
সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম ফেসবুক আমাদের সমাজে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। 'নাগরিক সাংবাদিকতা'র ছোঁয়ায় অনেক সময় ফেসবুকের নিউজফিডে ভেসে আসে বিভিন্ন অধিকার লঙ্ঘনের খবর এবং অনেক ক্ষেত্রে এসবের প্রতিকারও মেলে ফেসবুক সূত্রে। এখানেই ঠাট্টা-তামাশা চলে, পাওয়া যায় পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় তথ্য; পুরনো বন্ধুদের খোঁজ, নতুন বন্ধু তৈরি_ সবই হয়। সামাজিক বা ব্যক্তিগত বিশেষ বিশেষ দিনে শুভকামনা অনেকের জীবনে নতুন প্রেরণা জাগায়। দুঃসংবাদ বা দুর্ঘটনাতে মিলছে সান্ত্বনা বা শোকবার্তা। বস্তুত ফেসবুক না থাকলে শিশু রাজনের হত্যাকারীরা পারও পেয়ে যেতে পারত। ফেসবুক এখন কি সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে না? 'আরব স্প্রিং' ঘটাতে ফেসবুকের অসামান্য অবদান ছিল। আমাদের দেশেও গণজাগরণ মঞ্চ, শিক্ষায় ভ্যাট প্রত্যাহার, তনু হত্যার বিচারের দাবি আদায়ের মতো বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে এই ফেসবুক। অনেকের ব্যবসা-বাণিজ্যও সহজ করে দিয়েছে ফেসবুক।
তবে আমি বলতে চাইছি, আদতে ফেসবুকের সেই সুপ্ত প্রতিভাদের কথা, যাদের আগমন ঘটছে অভ্রের শুভ্রতা দিয়ে। ইচ্ছা, সুখ, দুঃখ, আবিষ্কার, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ছাড়াও যারা নিজেদের অপ্রকাশিত কবিতা, গল্প, ভ্রমণ কাহিনী অন্যের কাছে তুলে ধরতে পারছেন। ফেসবুক না থাকলে এসব সৃজনশীলতা আমরা হয়তো দেখতে পেতাম না। এসব উদীয়মান লেখকদের কি আমরা ঠিকমতো সমাদর করতে পারছি? আমরা যারা ভালো লিখতে পারি না অথচ ভালো ফেসবুক পাঠক, তারা কিন্তু এগিয়ে আসতে পারি। তাদের উৎসাহিত করার জন্য আমরা যদি দু-এক বাক্যে মন্তব্যের লেজুড় জুড়ে দিই তবে তা হবে বড় অনুপ্রেরণা। দুর্ভাগ্যবশত অনেকেই শুধু 'পছন্দের' বাটন চেপে দৌড়ে পালায়। অনেকে ভাবে, সময় কোথায়, সময় নষ্ট করার। তাতে হয়তো নব্য লেখকদের সান্ত্বনা মেলে কিন্তু খুব একটা উৎসাহ পান না। উৎসাহের জন্য দরকার বাক্যবিনিময়। সমান আলোচনা, ভালো ও মন্দের উভয়ই।
সম্প্রতি ফেসবুকের এফ ৮ নামের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু টুল উন্মুক্ত করেছে। ফেসবুকের ডেভেলপার প্ল্যাটফর্ম গ্রুপের প্রধান ডেব লিউ তার কি নোট দেওয়ার সময় ফেসবুকের কোট শেয়ারিং ফিচারটির কথা বলেন। এই ফিচারটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার প্রিয় লেখাটির কোনো কপি-পেস্ট ছাড়াই হাইলাইট দেখতে পাবেন। ফেসবুক সেভ বাটন নামের আরেকটি নতুন ফিচার উন্মুক্ত করেছে, যা ২০১৪ সালে সেভ অন ফেসবুক ফিচারটির মতোই ব্যবহারকারীকে তার প্রিয় লেখা, পণ্য, ভিডিও ফেসবুক সেভ ফোল্ডারে সংরক্ষণ করার সুবিধা দেবে। উল্লেখ্য, প্রতি মাসে ২৫ কোটি ব্যবহারকারী ফেসবুকের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় সংরক্ষণ করে রাখে।
এগুলো কাজে লাগিয়ে ফেসবুক হতে পারে উদীয়মান লেখকদের অসংকোচ চারণভূমি। মনে রাখা যেতে পারে, বর্তমানে ফেসবুকে ১৬০ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বিশ্বের ৭০০ কোটি মানুষের কাছে পেঁৗছানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। মূলধারার পরিসরে স্থান না পেলেও এখানে রয়েছে সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের অবারিত সুযোগ। তাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন 'বন্ধু' মহলই। নতুন মাধ্যমের নতুন বন্ধুরা।
জনসংযোগ গবেষক
[email protected]
তবে আমি বলতে চাইছি, আদতে ফেসবুকের সেই সুপ্ত প্রতিভাদের কথা, যাদের আগমন ঘটছে অভ্রের শুভ্রতা দিয়ে। ইচ্ছা, সুখ, দুঃখ, আবিষ্কার, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ছাড়াও যারা নিজেদের অপ্রকাশিত কবিতা, গল্প, ভ্রমণ কাহিনী অন্যের কাছে তুলে ধরতে পারছেন। ফেসবুক না থাকলে এসব সৃজনশীলতা আমরা হয়তো দেখতে পেতাম না। এসব উদীয়মান লেখকদের কি আমরা ঠিকমতো সমাদর করতে পারছি? আমরা যারা ভালো লিখতে পারি না অথচ ভালো ফেসবুক পাঠক, তারা কিন্তু এগিয়ে আসতে পারি। তাদের উৎসাহিত করার জন্য আমরা যদি দু-এক বাক্যে মন্তব্যের লেজুড় জুড়ে দিই তবে তা হবে বড় অনুপ্রেরণা। দুর্ভাগ্যবশত অনেকেই শুধু 'পছন্দের' বাটন চেপে দৌড়ে পালায়। অনেকে ভাবে, সময় কোথায়, সময় নষ্ট করার। তাতে হয়তো নব্য লেখকদের সান্ত্বনা মেলে কিন্তু খুব একটা উৎসাহ পান না। উৎসাহের জন্য দরকার বাক্যবিনিময়। সমান আলোচনা, ভালো ও মন্দের উভয়ই।
সম্প্রতি ফেসবুকের এফ ৮ নামের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু টুল উন্মুক্ত করেছে। ফেসবুকের ডেভেলপার প্ল্যাটফর্ম গ্রুপের প্রধান ডেব লিউ তার কি নোট দেওয়ার সময় ফেসবুকের কোট শেয়ারিং ফিচারটির কথা বলেন। এই ফিচারটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার প্রিয় লেখাটির কোনো কপি-পেস্ট ছাড়াই হাইলাইট দেখতে পাবেন। ফেসবুক সেভ বাটন নামের আরেকটি নতুন ফিচার উন্মুক্ত করেছে, যা ২০১৪ সালে সেভ অন ফেসবুক ফিচারটির মতোই ব্যবহারকারীকে তার প্রিয় লেখা, পণ্য, ভিডিও ফেসবুক সেভ ফোল্ডারে সংরক্ষণ করার সুবিধা দেবে। উল্লেখ্য, প্রতি মাসে ২৫ কোটি ব্যবহারকারী ফেসবুকের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় সংরক্ষণ করে রাখে।
এগুলো কাজে লাগিয়ে ফেসবুক হতে পারে উদীয়মান লেখকদের অসংকোচ চারণভূমি। মনে রাখা যেতে পারে, বর্তমানে ফেসবুকে ১৬০ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বিশ্বের ৭০০ কোটি মানুষের কাছে পেঁৗছানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। মূলধারার পরিসরে স্থান না পেলেও এখানে রয়েছে সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের অবারিত সুযোগ। তাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন 'বন্ধু' মহলই। নতুন মাধ্যমের নতুন বন্ধুরা।
জনসংযোগ গবেষক
[email protected]