চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তি মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু আমাদের দেশে চিকিৎসাব্যবস্থাকে এখনও গণমুখী করা হয়নি। ফলে উন্নত চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। অব্যবস্থাপনা ও নানাবিধ দুর্নীতির ফলে মানুষ সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। পর্যাপ্ত ওষুধের সরবরাহ থাকলেও রোগীকে ওষুধ কিনতে হয় বাইরে থেকে। কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হলেও উচ্চব্যয়ে নানাবিধ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হয় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে। এ ছাড়া দালালদের দৌরাত্ম্য, পদে পদে ঘুষ, এমনকি রোগীর কাছ থেকে জোর করে অর্থ হাতিয়ে নেয় সরকারি হাসপাতালের অসাধু কর্মচারীরা। নিতান্তই অসহায় বা অসচ্ছল না হলে কেউ সরকারি হাসপাতালে যেতে চান না। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবা নিতে গেলে ব্যয় করতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। সামর্থ্যবানদের অনেকেই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে পারেন না। তারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা কিংবা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কোনো জটিলতায় পড়লে সেবা নিতে বিদেশে চলে যান। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও গণমুখী চিকিৎসাব্যবস্থা প্রবর্তন না করার ব্যর্থতা আমাদের লজ্জিত করে। গণমুখী চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি জানাই।
ইয়ামিন খান, ফরিদপুর
ধূমপানমুক্ত ক্যাম্পাস কতদূর
তরুণরা স্বাস্থ্যহানির বিষয়ে অবগত থেকেও ধূমপান করছে। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরতদের মধ্যে ধূমপানের বেশি আসক্তি দেখা যাচ্ছে। সাধারণত অসৎ সঙ্গের কারণে অনেক শিক্ষার্থী ধূমপানে জড়িয়ে পড়ছে। পরবর্তী সময়ে তাদের অনেকে মাদকাসক্তও হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রকাশ্যে ধূমপান করে থাকে কিছু শিক্ষার্থী। ২০০৫ সালে প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধে ৫০ টাকা জরিমানার বিধান করেছিল বাংলাদেশ সরকার। ২০১৩ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে জরিমানার বিধান ৫০ থেকে ৩০০ টাকায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু আইনের প্রয়োগ না থাকায় ধূমপান কমছে না। আগামীর প্রজন্মকে পথে ফেরাতে আইনের প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ধূমপান ও মাদকমুক্ত করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নাইমা সুলতানা, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চাকরির পরীক্ষা স্বচ্ছ করুন
বাংলাদেশের চাকরির বাজার যেন যুদ্ধক্ষেত্র। প্রতিবছর এই যুদ্ধে যুক্ত হয় কয়েক লাখ গ্র্যাজুয়েট। চাকরি নামক স্বপ্নের সোনার হরিণ পেতে তারা প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা করে থাকে। তরুণরা স্বপ্ন দেখে নিজ যোগ্যতায় তারা একটি সম্মানজনক চাকরি পাবে। কিন্তু মাঝে মধ্যে চাকরির পরীক্ষায় অসচ্ছতা লক্ষ্য করা যায়। প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তরুণদের স্বপ্নভঙ্গ করে অসাধু ব্যক্তিরা। এতে তরুণদের মধ্যে হতাশা বাড়ে। আবার অনেক সময় একই দিনে একাধিক প্রতিষ্ঠান পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকে। এতে আবেদন করা সত্ত্বেও অনেকেই সেইসব পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না। আবার সব পরীক্ষা ঢাকায় আয়োজন করায় যাতায়াত ও থাকা-খাওয়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় চাকরিপ্রত্যাশীদের। এক্ষেত্রে বেশি ভুক্তভোগী হয় নারীরা। প্রশ্ন ফাঁস রোধ করে চাকরির পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনয়নের পাশাপাশি বিভাগীয় শহরগুলোতে পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানাই।
মো. আব্দুলল্গাহ
ঢাকা কলেজ, ইংরেজি বিভাগ
বিষয় : চিঠিপত্র
মন্তব্য করুন