- আনন্দ প্রতিদিন
- প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গানের চেয়ে নাটককে প্রাধান্য দিচ্ছে
আনন্দ প্রতিদিন
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গানের চেয়ে নাটককে প্রাধান্য দিচ্ছে

'মা' সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। কেমন হলো এবারের গানটি?
এটি মজার গান। গানের কথা, সুর আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। 'নাচে খুশিতে মন আজ দিশেহারা/দুটি নয়নে ফুটেছে স্বপ্নতারা'- এমন কথার গানটি লিখেছেন মাহী। মুনতাসীর তুষারের সংগীত পরিচালনায় এর সুর করেছেন মাহাদী ও মুনতাসীর তুষার। সম্প্রতি চ্যানেল আইয়ের স্টুডিওতে এর রেকর্ডিং শেষ হয়েছে। কিছু গানের প্রতি অগাধ ভালোবাসা তৈরি হয়ে যায়। এটি ঠিক তেমনি একটি গান।
এর মধ্যে নতুন আর কী কী গান করেছেন?
রায়হান রাফির পরিচালনায় 'দামাল', মীর সাব্বিরের অনুদানের সিনেমা 'রাতজাগা ফুল', হাসিবুর রেজা কল্লোলের যৌথ প্রযোজনায় 'বন্ধু' সিনেমায় গান করেছি।
অডিও গান কম করছেন...
অডিও গানের ব্যস্ততা খুব একটা নেই। কিছু গান তৈরি আছে। সেগুলো মিউজিক ভিডিওসহ প্রকাশ হবে। আগের চেয়ে অডিও গান কম হচ্ছে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গানের চেয়ে নাটককে প্রাধান্য দিচ্ছে। শিল্পীরা কেউ কেউ গান তৈরি করে নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করছেন।
ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কী ভাবছেন?
অধিকাংশ শিল্পী ইউটিউবের দিকে ঝুঁকছেন। ভাবছি, আমিও ইউটিউব চ্যানেল খুলব। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। নানা পরিকল্পনা চলছে। নতুন বছরে চ্যানেলের ঘোষণা আসবে।
করোনার প্রাদুর্ভাব কমেছে। মঞ্চের ব্যস্ততা বাড়তে শুরু করেছে নিশ্চয়ই?
হ্যাঁ, অনেক কনসার্টে গান করার কথা রয়েছে। ৩ ডিসেম্বর আর্মি স্টেডিয়ামে গান করব। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর দুবাই, ১৮ ডিসেম্বর শারজাহ স্টেডিয়ামে গাইব। ২৪ ডিসেম্বর সৌদি আরবের জেদ্দায় প্রথমবার যাচ্ছি কনসার্টে।
বিরতির পর মঞ্চে ফিরতে পেরে কেমন লাগছে?
বেশ ভালোই লাগছে। করোনার প্রাদুর্ভাব কমার পর কিছুদিন আগে প্রথম নাটোরের একটি কনসার্টে শ্রোতাদের সামনে হাজির হয়েছিলাম। মনে হয়েছে, করোনার আগের দিনগুলো শ্রোতারা ফিরে পেয়েছে। কারও মধ্যে করোনার কোনো ভয় দেখিনি। ৫০ হাজারের বেশি দর্শক কনসার্টটি উপভোগ করেছেন।
সাতশর বেশি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। এত অ্যালবাম প্রকাশ করতে গিয়ে গানের মান ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে কি?
আমি তো বাউল সাধকদের মাটির গানই বেশি গেয়েছি, যেগুলো কেউ নতুন করে সৃষ্টি করেননি। তাই মানের বিষয় নিয়েও ভাবতে হয়নি। যে বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি ছিল, তা হলো গানের কথা, সুর অবিকৃত রেখে গানের প্রকৃত আদল তুলে ধরা। গান গাওয়ার সময় সে চেষ্টাই করেছি বারবার।
লোকগানের ফিউশন হচ্ছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
যে গীতিকথা আর সুরে মিশে আছে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য, সেই লোকগান থেকে শিল্পী ও সাধকরা নিজেদের কখনও দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি। সময়ের পালাবদলে সংগীত পরিবেশনার ধরন বদলেছে। যে জন্য লোকগানের ফিউশনের মধ্য দিয়ে শিল্পী ও সাধকরা শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমারও চাওয়া, কোনো না কোনোভাবে লোকগান সবার মধ্যে পৌঁছে যাক। মূল সুর, কথা ও ভাবার্থ ঠিক রেখে সবার গান করা উচিত।
শিল্পীদের অনেক সংগঠন রয়েছে। নিজেদের স্বার্থ কতটা রক্ষা হচ্ছে?
সংগঠন করলেই হবে না। সবাইকে সম্পৃক্ত করে শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করতে হবে। যদিও আমি কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নই। আমি থাকছি কিনা, সেটি বড় বিষয় নয়। সংগঠনে যারা আছেন, তারা যদি সঠিকভাবে কাজ করেন, তাহলে শিল্পীসমাজই উপকৃত হবে বলে মনে করি।
বিষয় : মমতাজ
মন্তব্য করুন