এখন বেশি দরেই কিনছেন ট্যানারি মালিকরা
ঢাকার বাইরে চামড়া কেনাবেচা শুরু
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
সমকাল প্রতিবেদক
এবার কোরবানির আগে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ঢাকা শহরে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় কেনার ঘোষণা দেন ট্যানারি মালিকরা। আর সারাদেশে প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং প্রতি বর্গফুট বকরির চামড়ার দর ১৩ থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ঈদের পর ট্যানারি মালিকরা ঢাকায় প্রায় নির্ধারিত দরেই কেনাকাটা করেন। তবে ঢাকার বাইরে কিনতে সমস্যায় পড়েছেন তারা। সেখানে আড়তদাররা কম দামে কিনলেও ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে ঘোষণা দেওয়া দরের চেয়ে বেশি দাম নিচ্ছেন।
ঢাকার বাইরে প্রতিটি বড় চামড়ার (৩০ থেকে ৩৫ বর্গফুট) দর এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারিত ছিল। তবে ট্যানারি মালিকদের তা কিনতে হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায়। প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা নির্ধারিত দরের চেয়ে বাড়তি দামে মাঝারি চামড়া (২০ থেকে ২৫ বর্গফুট) ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকায় ও ছোট চামড়া (১২ থেকে ১৮ বর্গফুট) ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় কিনছেন তারা। ছাগলের চামড়া অবশ্য নির্ধারিত দরেই কেনাবেচা হচ্ছে। যদিও তা আরও কম দামে কিনেছিলেন আড়তদাররা। তাদের দাবি, প্রতিটি গরুর চামড়া কেনার পর সংরক্ষণে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ব্যয় হয়েছে। এরপর যৌক্তিক লাভ যোগ করে তা বিক্রি করেছেন।
বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন সমকালকে বলেন, ঈদে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির পর ট্যানারি মালিকদের শুধু দোষারোপ করা হয়েছে। আড়তদার ও পাইকাররা কম দামে চামড়া সংগ্রহ করেছেন। এখন তারা নির্ধারিত দরে বিক্রি করছেন না। তারা প্রতিটি চামড়ায় গড়ে ২০০ টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছেন। ট্যানারি মালিকদের বাধ্য হয়ে বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে।