- শিল্প ও বাণিজ্য
- সিদ্ধ চাল রফতানি শুরু
শিল্প ও বাণিজ্য
সিদ্ধ চাল রফতানি শুরু
এক মাসে ৫০ হাজার টন রফতানির অনুমোদন
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০১৯
শেখ আবদুল্লাহ
কৃষক পর্যায়ে ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ১১ জুলাই চাল রফতানির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে দুই লাখ টন সিদ্ধ চাল রফতানি করার বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন নিয়ে একজন ব্যবসায়ী একবারে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টন চাল রফতানি করতে পারবেন। প্রথমবার অনুমোদন নেওয়া চালের রফতানি শেষ হলে ওই ব্যবসায়ী পুনরায় রফতানির আবেদন করতে পারবেন।
এই প্রথমবার সরকার সিদ্ধ চাল রফতানির অনুমোদন দিয়েছে। রফতানিনীতি অনুযায়ী, চাল রফতানি নিষিদ্ধ। তবে সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে রফতানির সুযোগ আছে। এছাড়া ২৫ ধরনের সুগন্ধি চাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে বিদেশে পাঠাতে পারেন ব্যবসায়ীরা। এর আগে ২০১৪ সালে প্রথমবার চাল রফতানি হয়। ওই বছর টনপ্রতি ৪৫০ ডলার দরে ৫০ হাজার টন শ্রীলংকা সরকার বরাবর রফতানি করে বাংলাদেশ সরকার।
জানা গেছে, অভিজাত ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, শামসুল হক অটো রাইস মিলস, কৃষাণ এন্টারপ্রাইজ, এসএম এন্টারপ্রাইজ, মজুমদার রাইস মিল, রশিদ অটো রাইস মিলস, নওশিন এগ্রো, এম ইসলাম কোম্পানি ও ইন্টার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ ইতিমধ্যে ৫০ হাজার টন চাল রফতানির অনুমোদন পেয়েছে। এছাড়া একটি প্রতিষ্ঠান ৭৪ হাজার টন রফতানির অনুমোদন চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এসব চাল দেশের বাজারে বিক্রির জন্য এক সময় আমদানি করেছিল। এখন দেশে চাহিদা না থাকায় রফতানি করতে চাচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমদানি করে তা রফতানি করার প্রস্তাব হওয়ায় এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের আমদানি এবং চলতি বছরে ধানের ব্যাপক উৎপাদনের ফলে দেশে চাল উদ্বৃত্ত রয়েছে। যে কারণে অনেক ব্যবসায়ী খাদ্য মন্ত্রণালয়ে চাল রফতানির আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে বেসরকারি খাতে চাল রফতানির সিদ্ধান্ত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, এতদিন বাংলাদেশ থেকে সিদ্ধ চাল রফতানি হয়নি। কিছু সুগন্ধি চাল রফতানি হতো। সিদ্ধ চালের বিষয়টি ব্যবসায়ীদের কাছে নতুন। এজন্য সুগন্ধি চাল যেসব বাজারে রফতানি হয়, সেখানেই সিদ্ধ চাল রফতানি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা এ প্রক্রিয়ায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে আরও চাল রফতানির আবেদন আসবে। দেশের মজুদ পরিস্থিতি ও ব্যবসায়ীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে রফতানির পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টি সরকার পরে ঠিক করবে।