প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০১৭
মুক্ত হাসান
আরাফার ময়দানে প্রখর রোদ্র ও সূর্যালোকে হাঁটার সময় এবং কাবাগৃহের ছাদের পানি পড়ার নালি বা পাইপের কাছে উপস্থিত হলে হাজিদের স্মরণ করা উচিত, 'হে আল্লাহ, যেদিন তোমার আরশের ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন তোমার আরশের ছায়ার নিচে আমাকে স্থান দিও। হে আল্লাহ, আমাকে হজরত মুহাম্মদের (সা.) পানপত্র থেকে পানীয় পান করিও, যেন কখনও পিপাসার্ত না হই।
যেমন ইহরামের সাদা ও সেলাইবিহীন দুটি চাদর পরিধান করার সময় পরলোকগমনের পথে কাফনের কাপড়ের কথা স্মরণ করা উচিত। কারণ আমরা অবগত যে, অন্যান্য প্রচলিত পোশাক থেকে কাফনের কাপড় স্বতন্ত্র। পাহাড়ে চূড়া ও বন্ধুর পথ অতিক্রম করলে স্মরণ করা উচিত কবরের মনকার-নাকির ফেরেশতা ও সাপ-বিচ্চুর কথা। হজের পথে গমনে যেমন পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব ত্যাগ করে একাকী চলতে হয়, কবরের গমনও তদ্রূপ একাকী হবে। 'লাব্বায়েক' বলার সময় মনে করতে হবে, এটা আল্লাহর আহ্বানের উত্তর মাত্র। কিয়ামত দিবসে আল্লাহর আহ্বান শোনা যাবে- সেই ভয়ের কথা স্মরণ করা কর্তব্য।
হজ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা যদি কোনো ব্যক্তির সামান্য জ্ঞানও জন্মে, তবে তার বুদ্ধিমত্তা, অনুরাগ ও চেষ্টা অনুযায়ী হজের আসল রহস্য তার কাছে উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে এবং প্রতিটি কার্য থেকে তিনি নির্ধারিত ফল লাভ করতে সক্ষম হবেন। এটাই ইবাদতের প্রাণ। আর এই অর্থ বুঝতে পারলে প্রত্যেক কার্যের বাহ্য আকৃতি থেকে এটার আধ্যাত্মিক গূঢ় মর্মের দিকে তিনি অধিকতর অগ্রসর হতে পারবেন।