- খবর
- যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক পেতে পারেন 'গুরুদণ্ড'
খবর
জবির সিন্ডিকেট সভা আজ
যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক পেতে পারেন 'গুরুদণ্ড'
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০১৭
এস. এম আল-আমিন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান সমকালকে বলেন, সাধারণ নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন, যৌন হয়রানিসহ নৈতিক স্খলনের অভিযোগের কয়েকটির প্রাথমিক ও একটির চূড়ান্ত তদন্ত শেষ হয়েছে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের শাস্তি বিষয়ে সিন্ডিকেটে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১১ এপ্রিল জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোশারেফ হোসেনের (রাজীব মীর) বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ওই বিভাগেরই এক ছাত্রী। পরে একই বিভাগের আরও কয়েক ছাত্রী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ দেন। গত বছরের ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১তম সিন্ডিকেট সভায় রাজীব মীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য সমকালকে জানান, রাজীব মীরের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়ে এবং এসএমএস পাঠিয়েও রাজীব মীরের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জবির নাট্যকলা বিভাগের এক ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলার পর একই বিভাগের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম প্রামাণিক ওরফে সম্রাটকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চলতি বছরের ২০ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে জবির 'ডি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক দেওয়ান বদরুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রশাসন। আরেক ঘটনায় পদোন্নতি পেতে গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে জবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও সিন্ডিকেটের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে।