- খবর
- পরাজয়ের ভয়ে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি ওবায়দুল কাদের
খবর
পরাজয়ের ভয়ে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি ওবায়দুল কাদের
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
সমকাল প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে দলের পক্ষ থেকে ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র জমা দেন- পিআইডি
গতকাল সোমবার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র জমা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা নির্বাচন হওয়ার আগেই হেরে যায়। নির্বাচন হওয়ার আগেই তারা নির্বাচন সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে। নালিশ করা
তাদের পুরনো অভ্যাস। এটা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। এটা হাস্যকর হয়ে গেছে। তাদের নালিশের কোনো বাস্তবতা, সত্যতা নেই। যেসব নির্বাচনে তারা নির্বাচিত হয়েছে, সেসব নির্বাচনেও তারা জালিয়াতির কথা বলেছে। সিলেট সিটি নির্বাচনেও তারা এমন মন্তব্য করেছিল। অথচ সেখানে তাদের প্রার্থী বিজয়ী হয়। হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা ডাকসু নির্বাচনেও আসবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশে-বিদেশে সংসদ নির্বাচনকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করেছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। সারা দুনিয়া এ নির্বাচনকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী নারী আসনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে ত্যাগী এবং তৃণমূলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে আমরা অনেক সময় নিয়েছি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছেন। অনেক যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। তারা সবাই মেধাবী, ভদ্র ও দলের প্রতি আত্মনিবেদিত। আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের যে ত্যাগী ভূমিকা সেটিকে আমরা গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমাদের নেত্রীর সক্রিয় মতামতের ভিত্তিতে দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী কর্মীরা এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিবার, এ ছাড়া সব অঙ্গনের প্রতিনিধি এখানে আছেন। সাংস্কৃতিক থেকে শুরু করে সব পর্যায় থেকে নিয়েছি। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি তৃণমূল পর্যায়ে।
সংরক্ষিত নারী আসন আগামীতে আরও বাড়বে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আর সংরক্ষিত নারী আসন বাড়বে না। তবে সরাসরি নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে।
এক তরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ জিতে যাচ্ছে- বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের এমন বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'উনি কি নির্বাচনের নিয়ম-কানুন, আইন, আচরণবিধি, সংবিধান- এসব মানতে চান না? জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন তো পাঁচ বছর পরই হচ্ছে। গতবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে বিএনপি এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ধাপেও তারা ব্যালেন্স ছিল। তারা এখন নির্বাচনে অংশ নেবে না, কারণ তারা জানে জাতীয় নির্বাচনে যে ভরাডুবি হয়েছে, তাতে উপজেলা নির্বাচনে আরও শোচনীয় অবস্থা হবে।'