প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০১৯
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
ছাত্রীর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌর শহরের আনোয়ারপুরের নয়াহাটির মাদানী মহল্লার ইতালি প্রবাসী হিফজুর রহমানের মেয়ে মুন্নীকে উত্ত্যক্ত করত বখাটে এহিয়া। এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে মুন্নীর ঘরে ঢুকে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে সে। ঘটনার সময় অপর আসামি তানভীর আহমদ চৌধুরী দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। পরে মেয়ের চিৎকার শুনে রাহেলা বেগম এগিয়ে এলে এহিয়া তাকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই এহিয়া, তানভীরসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩-৪ জন মোটরসাইকেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত মুন্নীকে প্রথমে দিরাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সিলেটে নেওয়ার সময় পাথারিয়া বাজার এলাকায় তার মৃত্যু হয়। ওইদিনই মুন্নীর মা থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা গত বছরের ৭ জানুয়ারি উপজেলার সাকিতপুর গ্রামের জামাল মিয়া সরদার ও হামিদা বেগমের ছেলে এহিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অন্য আসামি উপজেলার তাড়ল গ্রামের আবুল কালাম চৌধুরীর ছেলে তানভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা না পাওয়ায় মামলা থেকে তার অব্যাহতি চাওয়া হয়। আদালত গত বছরের ২২ জানুয়ারি অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এহিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন এবং মামলা থেকে তানভীরকে অব্যাহতি দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল এহিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার।
আদেশে বলা হয়, আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ হাইকোর্ট ডিভিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলো। বাদীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন রবিউল লেইছ, আসামি পক্ষে হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ড. খায়রুল কবির রুমেন।