প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০১৯
সমকাল প্রতিবেদক
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সমকালকে বলেন, সোয়ারীঘাটের দেবী দাস লেন ও কামালবাগ এলাকার পলিথিন কারখানাগুলোয় সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখানে প্রচুর পরিমাণ পলিথিন ও তৈরির বিভিন্ন উপাদান পাওয়া যায়। পলিথিনের উৎপাদন আগে থেকেই নিষিদ্ধ। পাশাপাশি এটি তৈরিতে ব্যবহূত রাসায়নিক উপাদানগুলোও মারাত্মক দাহ্য পদার্থ। ফলে সেগুলো কোনোভাবে আগুনের সংস্পর্শে গেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। এ কারণে গতকাল এসব কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া দেবী দাস লেনের তিনটি ছয়তলা ভবন ভেঙে ফেলার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) বলা হয়েছে। টিনের ছাদের ওপর ঢালাই দিয়ে তৈরি করা ভবনগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর একটিতে ছয়টি, একটিতে তিনটি ও একটিতে দুটি পলিথিন কারখানা ছিল।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ৬৭ জনের মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও চারজন। ওই ঘটনার পর পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম সরাতে নিয়মিত অভিযান চলছে। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু হয়। এর আগে ৬ মার্চ সোয়ারীঘাট এলাকার ১৬টি পলিথিন কারখানাকে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করেন একই আদালত। ওই অভিযানে ১১০ টন পলিথিন ও পলিথিন তৈরির উপাদান জব্দ করা হয়। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ।