- খবর
- হত্যার পর বিদ্যুৎস্পর্শের নাটক, ২ ভাই গ্রেফতার
খবর
খিলগাঁওয়ে রুবেল খুন
হত্যার পর বিদ্যুৎস্পর্শের নাটক, ২ ভাই গ্রেফতার
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০১৯
সমকাল প্রতিবেদক
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ঘটনার তথ্য জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাব কর্মকর্তারা। সেখানে র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান
বলেন, রুবেল বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে রুবেলের বাবা নাজিম উদ্দিন দাবি করেছিলেন। ঘটনার সময় ও ঘটনাস্থল লুকিয়ে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে খিলগাঁও থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন। অবশ্য প্রাথমিক অনুসন্ধানে রুবেলের মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হলে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা রুবেলের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন তিনি নেপথ্য ঘটনা খুলে বলেন। রুবেলের মরদেহ শামীমদের নির্মাণাধীন বাড়ির রান্নাঘরের কাছে পাওয়া যায়। শামীম ও তার ভাই আল আমিন বিদ্যুৎস্পর্শের কথা বলায় তিনি তা বিশ্বাস করেছিলেন। এ জন্য তারা তাকে দুই লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়। পরে তিনি জানতে পারেন, তারা তার ছেলেকে খুন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, রুবেল মাদকাসক্ত ছিল। নেশার টাকা জোগাড় করতে গত রোববার রাতে শামীমদের বাসায় চুরি করতে যায়। ওই সময় তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার পর লাশটি নির্মাণাধীন ভবনের রান্নাঘরের ফাঁক দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তা না পেরে বিদ্যুৎস্পর্শের নাটক সাজানো হয়।
গ্রেফতার দুই ভাইয়ের একজন শামীম র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, রুবেল তার বাসায় চুরি করার চেষ্টা করে। এতে সে শব্দ পেয়ে ঘরের দরজা খুলে রুবেলের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে রুবেল মাটিতে পড়ে গেলে বিষয়টি বড় ভাই আল আমিনকে ঘুম থেকে ডেকে জানানো হয়। তখন তারা দুই ভাই ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য নির্মাণাধীন রান্নাঘরের টিনের বেড়ার নিচ দিয়ে রুবেলের লাশ বাড়ির বাইরে ফেলার চেষ্টা করে। লাশ অর্ধেক বেড়ার বাইরে যাওয়ার পর আটকে যায়। তখন তারা ঘটনাটিকে বিদ্যুৎস্পর্শ হিসেবে আশপাশের লোকজন ও রুবেলের স্বজনদের বলে।
র্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, শামীম ও তার ভাইয়ের কথায় বিশ্বাস করে এলাকাবাসী রুবেলের হাতপায়ে ম্যাসাজ করে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে। ওই সময়ে লোকজন রুবেলের মাথায় ও পিঠে সন্দেহজনক আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেয়। কিন্তু রুবেলের বাবার কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে অপমৃত্যু মামলা নেয়।