প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০১৯
নোয়াখালী প্রি
.উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন গত ১৬ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের পর কেশবপুর গ্রামের রহমত উল্লার মেয়ে স্বপ্না আক্তারকে বিয়ে করেন। স্বপ্না আক্তার জানান, তাদের প্রেমের বিয়ে তার বাবা ও ভাইয়েরা মেনে নেননি। বিয়ের পর স্বপ্নার বড় ভাই ফিরোজ ও পারভেজ তার স্বামীকে একাধিকবার মারধর ও তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েকদিন আগে রাতের আঁধারে স্বপ্নার ভাইদের ইন্ধনে সন্ত্রাসীরা আমজাদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর এবং তাকে মারধর করে।
এ ঘটনার পর তিনি ঢাকায় তার বড় ভাই মানিকের দোকানে গিয়ে ব্যবসার কাজে সহযোগিতা করতেন। নোয়াখালী জেলা জজ আদালতে একটি মামলার হাজিরা দেওয়ার জন্য গত মঙ্গলবার তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। বুধবার তিনি আদালতে হাজিরা দেন। আজ শুক্রবার তার ঢাকা চলে যাওয়ার কথা ছিল।
স্বপ্না আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তার স্বামী আমজাদ বাড়ির পাশে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। সকাল ১১টার সময় দক্ষিণ কেশবপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মোহনসহ ৪-৫ জন চা দোকানে এসে আমজাদকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে মোহনের সহযোগী বেগমগঞ্জ উপজেলার তুলাচারা গ্রামের জাফরের (২৪) হাতে লাগে। এতে তিনি আহত হন। এ সময় সন্ত্রাসীদের দল আমজাদকে জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে ধানুপুর মাঠে নিয়ে তাকে গুলি করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যা শেষে তারা লাশটি ধানুপুর মাঠে ফেলে রাখে।
নিহতের স্ত্রী স্বপ্না আক্তারের দাবি, তার ভাই ফিরোজ ও পারভেজ পূর্বশত্রুতার জের ধরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে তার স্বামীকে হত্যা করেছে। তিনি তার স্বামীর খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসি দাবি করেছেন। পরে খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুস সামাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং লাশ উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল বিকেলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা, ওসি (ডিবি) আবুল খায়ের ও গোয়েন্দা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আমিশাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ভূঁঁইয়া ও ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মোহন ও জাফর সন্ত্রাসী।