- খবর
- জিএসপি স্থগিত রাখার কারণ নেই আর
খবর
ইউএস ট্রেড শোতে বাণিজ্যমন্ত্রী
জিএসপি স্থগিত রাখার কারণ নেই আর
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০১৯
সমকাল প্রতিবেদক

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ইউএস ট্রেড শো-২০১৯ উদ্বোধন শেষে স্টল ঘুরে দেখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ অতিথিরা সমকাল
যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) ও ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। ইউএস ট্রেড শোর ২৬তম আসর এটি। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ প্রদর্শনী চলবে তিন দিন। অ্যামচেম সভাপতি নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল ররার্ট মিলার।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংগঠন 'আমেরিকান অর্গানাইজেশন অব লেবার-কংগ্রেস ফর ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (এএফএল-সিআইও)' আবেদনে ওই বছরের ২৭ জুন বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করা হয়। এর আগ পর্যন্ত তৈরি পোশাক বাদে বাংলাদেশের ৯৯ ভাগ রফতানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক্কমুক্ত সুবিধা পেত। জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশের উন্নতি এবং শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকারসহ ১৬টি শর্ত দেয় দেশটি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পেত না। তামাক, সিরামিক, প্লাস্টিকের মতো অন্যান্য পণ্যে জিএসপি সুবিধা দেওয়া হতো।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর তা স্থগিত করা হয়। তৈরি পোশাকের ক্রেতাদের পরামর্শে পোশাক কারখানাগুলোর পরিবেশ উন্নত, বিল্ডিং সেফটি, ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ফলে এখন জিএসপি স্থগিত রাখার কোনো কারণ নেই।
১৯৯২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সঙ্গে যৌথভাবে ইউএস ট্রেড শো আয়োজন করে আসছে অ্যামচেম। এবারের আয়োজনে ৪৬টি প্রতিষ্ঠান ৭৪টি বুথে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। এ ছাড়া এ আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থা এবং ভিসাবিষয়ক দুটি সেমিনারও রয়েছে। এ বছরের প্রদর্শনীতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ডায়াগনস্টিক অটোমেশন ইনকরপোরেশন, প্যারাসাউন্ড, দ্য কেলগ কোম্পানি ও অ্যাপল। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। মেলায় প্রবেশ ফি ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে স্কুল শিক্ষার্থীরা ড্রেস পরে এবং নিজের আইডি কার্ড প্রদর্শন করে ফি ছাড়া মেলায় প্রবেশ করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক একটা ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য রফতানির পরিমাণ ৪৩ শতাংশ বেড়ে ২১০ কোটি ডলারে পৌঁছায়। আর গত ১০ বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে ৮২০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর উচ্চমানের পণ্য ও সেবা বাংলাদেশে প্রদর্শনের এবং বাংলাদেশে এসব প্রতিষ্ঠানের অবদান রাখার ভালো সুযোগ হচ্ছে ট্রেড শো। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং রফতানির বড় বাজার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান ধরে রাখবে।