- খবর
- সংসদে শিক্ষামন্ত্রী সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবার এমপিওভুক্ত হবে
খবর
সংসদে শিক্ষামন্ত্রী সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবার এমপিওভুক্ত হবে
প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৯
সমকাল প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ গোলাম খন্দকার প্রিন্স সম্পূরক প্রশ্নে সরকারের বিদ্যমান নীতিমালায় পরিবর্তন এনে স্থানীয় এমপিদের সুপারিশের আলোকে এমপিভুক্তির দাবি জানান। তার এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারের বিদ্যমান নীতিমালার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মান ও গুণের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া
হয়নি। ন্যক্কারজনকভাবে সব ক্ষেত্রে দলীয়করণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার জনগণের অধিকারের বিষয়ে সচেতন। যোগ্যতাকেই মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়েছে।
এমপিওর শর্ত পূরণে এবার ব্যর্থ এমন প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগ্যতা অর্জন সাপেক্ষে পরবর্তী পর্যায়ে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা এখনও যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি, তারা ভবিষ্যতে পারবে। আর নতুন এমপিওভুক্তির জন্য অতীতের মতো আর ১০ বছর অপেক্ষা করার দরকার হবে না।
ঝরে পড়ার হার মাধ্যমিকে ৩৭.৬২, প্রাথমিকে ১৯.৬ শতাংশ :মাধ্যমিক স্তরে ঝরে পড়ার হার বর্তমানে (২০১৮ সালে) ৩৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। অন্যদিকে প্রাথমিক স্তরে এই হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার তথ্য তুলে ধরেন। মন্ত্রীর উপস্থাপিত তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রথম দিকে ঝরে পড়ার হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি থাকলেও ক্রমান্বয়ে এ ব্যবধান কমেছে।
প্রাথমিক স্তরে ঝরে পড়ার হারের বিষয়ে চট্টগ্রাম-৩ আসনের মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ার হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। দারিদ্র্য, অভিভাবকের অসচেতনতা, শিশুশ্রম, অশিক্ষা, বাল্যবিবাহ ও দুর্গম এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ে বলে তিনি জানান।
এদিকে সংরক্ষিত আসনের খালেদা খানমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, শিক্ষা অফিস ও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর শূন্য পদের সংখ্যা আট হাজার ৮৯৩টি।