প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৯
কক্সবাজার অফিস ও উখিয়া প্রতিনিধি
প্রতিনিধি দলটি ডি-৫ ব্লকে রোহিঙ্গাদের
সঙ্গে কথা বলে। এ সময় রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ দেশ ত্যাগে বাধ্য করার বিবরণ তুলে ধরা হয়। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কথা শোনেন।
এ সময় উপস্থিত রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ বলেন, মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত না হলে, বসত-বাড়ি ফেরত দেওয়া না হলে তারা স্বদেশে ফিরে যাবেন না। তারা রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারও
দাবি করেন।
প্রতিনিধি দলের নেতা অ্যামন গিলমোর বলেন, তারা আগামী শুক্রবার মিয়ানমারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সে দেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন।
ইইউ প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের ইনচার্জ রেজাউল করিমসহ এনজিও প্রতিনিধিরা। পরে ইইউ প্রতিনিধি দল বিকেলে কক্সবাজারে শরণার্থী বিষয়ক ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালামের সঙ্গে বৈঠক করে।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের বর্ণনা শুনে হতবাক চীনা রাষ্ট্রদূত :বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত জাং জু রোহিঙ্গাদের কাছে তাদের ওপর চালানো নির্যাতনের বর্ণনা শুনে হতবাক হয়ে পড়েন। গতকাল বিকেলে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে এসে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর যে জুলুম, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়ন, অগ্নিসংযোগ করেছে, তার বর্ণনা শোনেন। এ সময় তিনি বলেন, এতদিন জানতাম না রোহিঙ্গাদের ওপর এত লোমহর্ষক ঘটনা ঘটিয়েছে মিয়ানমার। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকারসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত নিতে হবে। তার দেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হবে।