প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৯
গাইবান্ধা ও সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি
গতকাল মঙ্গলবার গাইবান্ধার ১নং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক মূল আসামি ডা. আবদুল কাদের খানের উপস্থিতিতে ১১ পৃষ্ঠার এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলার চার্জশিটে শুধু কাদের খানকেই আসামি করা হয়। লিটন হত্যাকাণ্ডের মূল মামলাটি এখনও বিচারাধীন। এ অস্ত্র মামলার রায়ে এমপি লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি ও মামলার আইনজীবী পিপি শফিকুল ইসলাম শফিক সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে কাদের খানের আইনজীবী সাবেক পিপি জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের শাহবাজ মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ জনকে আসামি করে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই
ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া থেকে কাদের খানকে গ্রেফতার করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি লিটন হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকেই পুলিশ খুনের হুকুমদাতা প্রধান আসামি কাদের খানের গ্রামের বাড়ি সুন্দরগঞ্জের ছাপড়হাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটি গ্রামের খানপাড়ার বাড়ি থেকে এমপি লিটন হত্যায় ব্যবহূত পিস্তলসহ অন্য আলামত উদ্ধারে তৎপর ছিল। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সে সময় কাদের খানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়ির একটি আমগাছের গোড়ায় মাটি খুঁড়ে অস্ত্র ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
লিটন হত্যা মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। এতে কাদের খানকে হুকুমদাতা হিসেবে প্রধান আসামি করে তার কিলার বাহিনীর সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে রানা, শাহীন মিয়া শান্ত, রাশেদুল হাসান মেহেদী, ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) শামছুজ্জোহা সরকার, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার রায়, তার ভগ্নিপতি কসাই সুবল চন্দ্র রায়, কাদের খানের গাড়িচালক আব্দুল হান্নানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে চন্দন কুমার রায় ভারতে পলাতক। অন্যরা কারাগারে আছে।