- খবর
- বোরহান ও আল আমিনের দেশত্যাগ ঠেকাতে তৎপরতা
খবর
চলন্ত বাসে নার্স ধর্ষণ ও হত্যা
বোরহান ও আল আমিনের দেশত্যাগ ঠেকাতে তৎপরতা
প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৯
সাইফুল হক মোল্লা দুলু, কিশোরগঞ্জ
তদন্তসংশ্নিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তাদের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড বোরহান। কিন্তু তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বোরহান কোথায় আছে, তা কেউ বলতে পারছে না। তারা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সেজন্য তৎপর রয়েছে পুলিশ।
তদন্তসংশ্নিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বোরহান সম্ভবত দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছে। সেজন্য সে নানাভাবে ধূর্ততার আশ্রয় নিচ্ছে। কোনো পরিচিতজনের সঙ্গে সে এ পর্যন্ত যোগাযোগ করেনি। তবে পুলিশ এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকায় বোরহান দেশ ছেড়ে পালাতে পারবে না বলেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রগুলো মনে করছে।
এদিকে বোরহানের মতোই আল আমিনের খোঁজে তৎপর রয়েছে পুলিশ। আল আমিন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘটনার পর পরই আত্মগোপনে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মিলছে না। তবে পুলিশ বলছে, বোরহান ও আল আমিন যেখানেই থাকুক না কেন, তারা ধরা পড়বেই। তারা পুলিশের চোখ এড়িয়ে বেশিদিন থাকতে পারবে না।
এদিকে জেলা পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বোরহান ও আল আমিনকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে তারা জনগণের সহযোগিতা কামনা করছে। এই দু'জনকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কেউ সহযোগিতা করলে তাকে পুলিশের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
নিহত শাহিনুর আক্তার তানিয়া কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ঢাকার ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কল্যাণপুর
শাখায় সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসার জন্য গত ৬ মে বিকেলে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন তিনি। বাজিতপুর উপজেলার বিলপাড় জামতলীতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন তিনি। পরে তাকে বাস থেকে ফেলে হত্যা করা হয়।
মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামির মধ্যে বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু ও হেলপার মো. লালন মিয়া এই দু'জন ছাড়াও সন্দিগ্ধ আসামি কটিয়াদীর কাউন্টার মাস্টার মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, লাইনম্যান মো. খোকন মিয়া ও পিরিজপুর কাউন্টার মাস্টার মো. বকুল মিয়া ওরফে ল্যাংড়া বকুলকে ঘটনার রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ধর্ষক বোরহান ও বাসের সুপারভাইজার আল আমিন রয়ে যায় অধরা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, বোরহান ও আল আমিনকে গ্রেফতারে চিরুনি অভিযান চলছে। তারা পুলিশের জালে ধরা পড়বেই।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, সর্বোচ্চ মহল থেকে তদারকি করা হচ্ছে। তাই তাদের গ্রেফতার সময়ের ব্যাপার মাত্র।