- খবর
- কর্মচারীদের টানা আন্দোলনে অচল রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
খবর
কর্মচারীদের টানা আন্দোলনে অচল রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০১৯
মেরিনা লাভলী, রংপুর
জানা যায়, ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার পর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বেতন পেলেও মে থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ৫৮ কর্মচারীর। মামলা-সংক্রান্ত জটিলতায় তাদের বেতন আটকে যায়। কর্মচারীরা আবেদন করলে তার পরিপ্রেক্ষিতে বকেয়া বেতন দেওয়া হবে- এমন সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আজ অবধি বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি।
বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ, পদোন্নতি ও নীতিমালা প্রণয়ন এবং দশম গ্রেডে উন্নীত ২৫ সিনিয়র কর্মচারীর পদমর্যাদার দাবিতে ২৩ জুন থেকে কর্মবিরতি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত কর্মচারী পরিষদ। কর্মচারীদের মাসব্যাপী এই আন্দোলনের ফলে বিভাগগুলোর ভর্তি কার্যক্রম ও ফরম পূরণের কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। যেসব বিভাগের ল্যাব ক্লাস থাকে, তারা বেশি বিপাকে পড়েছে। এ ছাড়া ল্যাব অ্যাটেনডেন্টের অনুপস্থিতির কারণে ল্যাব ক্লাস হচ্ছে না, সেমিনার বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা সেখানে ঢুকতে পারছে না; ওয়াশরুমগুলোতে একদিকে পানি নেই, অন্যদিকে অপরিস্কার থাকায় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু বিভাগে খাবার পানিও নেই, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে কোনো কর্মচারী না থাকায় চলছে না স্বাভাবিক কার্যক্রম।
কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সম্পাদক মাসুদ খান বলেন, কোনো নীতিমালা ছাড়াই ১১ বছর ধরে কর্মচারীরা কাজ করে আসছেন। এর আগে প্রশাসন বলেছিল ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করবে। গত ১৯ মে ইউজিসি আমাদের জন্য তিন কোটি ৫০ লাখ টাকা দিলেও তা এখন পর্যন্ত পাইনি। প্রশাসন আমাদের সঙ্গে বসতে চায় না, কথা শুনতে চায় না। যত দিন পর্যন্ত দাবি মানা না হবে, তত দিন আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী প্রশাসক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক কর্মচারী তিনটি দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। যদিও তাদের দাবিগুলো আগেই বাস্তবায়িত হয়েছে।