শজিনা (মরিঙ্গা) গাছের পাতার গুঁড়া-পণ্য উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা সংস্থা (বিসিএসআইআর)। প্রতিষ্ঠানটির ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ট্রান্সফার অ্যান্ড ইনোভেশনের (আইটিটিআই) তিন বিজ্ঞানী এ উদ্ভাবনে যুক্ত ছিলেন। তারা জানান, সঠিক স্থানের পাতা সংগ্রহ করে তা ধুয়ে ধুলোবালি মুক্ত করে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় শুকিয়ে শজিনা পাতার গুঁড়া-পণ্য উদ্ভাবন করা হয়েছে। এই গুঁড়াতে তাজা পাতার মতো সব ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, এমাইনো অ্যাসিড ও মিনারেলস অক্ষুণ্ণ থাকে। সোমবার বিকেলে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে বিসিএসআইআর মিলনায়তনে উদ্ভাবিত গুঁড়ার বাজারজাতকরণে রেনেটো লিমিটেডের কনজ্যুমার প্রোডাক্টসের কনসার্ন প্রতিষ্ঠান পূর্ণাভা লিমিটেডের সঙ্গে আইটিটিআইর চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফতাব আলী শেখ, শজিনা গুঁড়া উদ্ভাবনের তিন বিজ্ঞানী রেজাউল করিম, ড. মো. রকিবুল হাসান, দেবব্রত কর্মকার ও রেনেটোর কনজ্যুমার প্রোডাক্টসের সহযোগী ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান পূর্ণাভা লিমিটেডের এম রিনাত রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পের প্রধান উদ্ভাবক ও প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বিসিএসআইআর উদ্ভাবিত এক টেবিল চামচ শজিনা পাতার গুঁড়া শিশুদের দৈনিক অত্যাবশকীয় আমিষ, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন চাহিদা পূরণ করতে পারে। এতে রয়েছে কমলালেবুর তুলনায় সাতগুণ ভিটামিন সি, গাজরের তুলনায় চারগুণ বেশি ভিটামিন এ, দুধের তুলনায় দুই গুণ বেশি আমিষ ও চারগুণ ক্যালসিয়াম, কলার তুলনায় তিনগুণ পটাশিয়াম। বয়স্কদের জন্যও এটা বেশ উপকারী। ভারত থেকে বছরে প্রায় ৩০০ টন শজিনা পাতার গুঁড়া ইউরোপ, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে রপ্তানি করা হয় বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন