করোনায় দেশে আয় বৈষম্য বেড়েছে
নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সম্মেলনে বক্তারা
করোনায় দেশে আয় বৈষম্য বেড়েছে। পুষ্টি ও স্বাস্থ্য খাতে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে তথ্যের অভাবে করোনার প্রভাবে কোন খাতে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। বৈষম্য কমাতে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। এখন স্বাস্থ্যসেবা, সার্বজনীন শিক্ষা ও ছোট উদ্যোক্তাদের সমস্যা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে।
গতকাল রোববার এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে 'মহামারি থেকে উত্তরণের পথে বাংলাদেশ : অভিজ্ঞতা অর্জন ও নীতি প্রণয়ন' শীর্ষক এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ ছাড়া জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ক আনিসাতুল ফাতিমা ইউসুফ বক্তব্য দেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, করোনার সময়ে মানুষের কষ্ট বেড়েছে। বৈষম্যও বেড়েছে। তবে তার মন্ত্রণালয় থেকে করা এক জরিপে দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে মানুষ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কষ্ট কমছে।
এম এ মান্নান বলেন, সরকারের কাজে নানা ধরনের বাধা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ বাধা যেমন আছে, তেমনি বিদেশের বাধাও আছে। যার যার এজেন্ডা নিয়ে বাধা দিচ্ছে। সরকারেরও এজেন্ডা আছে। সরকারের এজেন্ডা হলো দারিদ্র্য বিমোচন, মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন এবং বাঙালিকে বাঙালি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
মূল প্রবন্ধে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, করোনার কারণে সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। মানুষের আয় কমেছে, চাকরির বাজার খারাপ হয়েছে। দেশে আয় বৈষম্যও বেড়েছে। শ্রমবাজার ভেঙে পড়েছে। এখানে সমন্বয়ের উদ্যোগ জরুরি। ছোট ছোট অনেক প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিতে পড়েছে। যে কারণে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য খাতে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা খাতের চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ে বেড়েছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, দেশে তথ্য নৈরাজ্য আছে। তথ্যের অভাবে করোনার প্রভাবে কোন খাতে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। ফলে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে তার ফলও কাঙ্ক্ষিত হচ্ছে না। অনেক ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার উদাহরণ। তবে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যাও রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশে ব্যয় অনেক কম। সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবায় নিজস্ব ব্যয় বেশি করতে হয়। শিক্ষাতেও সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কর্মসংস্থান হচ্ছে কম। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনেক কথা হলেও দূষণ রোধের উদ্যোগ কম। এসব ক্ষেত্রে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, করোনার ফলে দেশের কোথায় কী ধরনের ঘাটতি রয়েছে তা পরিস্কার হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা, সার্বজনীন শিক্ষা, ছোট উদ্যোক্তাদের সমস্যা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। মেয়েদের কাজের সুযোগ বাড়াতে হবে।
আজ সোমবার শেষ হবে দুই দিনের এই সম্মেলন। এতে মূল বক্তব্য দেবেন অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান।
গতকাল রোববার এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে 'মহামারি থেকে উত্তরণের পথে বাংলাদেশ : অভিজ্ঞতা অর্জন ও নীতি প্রণয়ন' শীর্ষক এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ ছাড়া জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ক আনিসাতুল ফাতিমা ইউসুফ বক্তব্য দেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, করোনার সময়ে মানুষের কষ্ট বেড়েছে। বৈষম্যও বেড়েছে। তবে তার মন্ত্রণালয় থেকে করা এক জরিপে দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে মানুষ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কষ্ট কমছে।
এম এ মান্নান বলেন, সরকারের কাজে নানা ধরনের বাধা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ বাধা যেমন আছে, তেমনি বিদেশের বাধাও আছে। যার যার এজেন্ডা নিয়ে বাধা দিচ্ছে। সরকারেরও এজেন্ডা আছে। সরকারের এজেন্ডা হলো দারিদ্র্য বিমোচন, মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন এবং বাঙালিকে বাঙালি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
মূল প্রবন্ধে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, করোনার কারণে সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। মানুষের আয় কমেছে, চাকরির বাজার খারাপ হয়েছে। দেশে আয় বৈষম্যও বেড়েছে। শ্রমবাজার ভেঙে পড়েছে। এখানে সমন্বয়ের উদ্যোগ জরুরি। ছোট ছোট অনেক প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিতে পড়েছে। যে কারণে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য খাতে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা খাতের চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ে বেড়েছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, দেশে তথ্য নৈরাজ্য আছে। তথ্যের অভাবে করোনার প্রভাবে কোন খাতে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। ফলে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে তার ফলও কাঙ্ক্ষিত হচ্ছে না। অনেক ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার উদাহরণ। তবে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যাও রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশে ব্যয় অনেক কম। সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবায় নিজস্ব ব্যয় বেশি করতে হয়। শিক্ষাতেও সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কর্মসংস্থান হচ্ছে কম। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনেক কথা হলেও দূষণ রোধের উদ্যোগ কম। এসব ক্ষেত্রে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, করোনার ফলে দেশের কোথায় কী ধরনের ঘাটতি রয়েছে তা পরিস্কার হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা, সার্বজনীন শিক্ষা, ছোট উদ্যোক্তাদের সমস্যা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। মেয়েদের কাজের সুযোগ বাড়াতে হবে।
আজ সোমবার শেষ হবে দুই দিনের এই সম্মেলন। এতে মূল বক্তব্য দেবেন অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান।