- খোলা চোখে
- গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক কেন?
খোলা চোখে
গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক কেন?

আগের নিয়মে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় ও অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি পোহাতে হতো দুর্ভোগ। গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব হলেও ভর্তি আবেদন ফি সেই বেশিই থাকছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি ইউনিটে আবেদনের জন্য ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। ফলে একজন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে গেলে গুনতে হবে ১২ হাজার টাকা! কীভাবে শিক্ষার্থীরা বহন করবেন এই অতিরিক্ত ফির বোঝা?
এ ছাড়াও বিতর্ক হয়েছে গুচ্ছের মানবিক বিভাগের বি ইউনিটের ফল নিয়ে। হঠাৎ এ বছর থেকেই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান পুরোপুরি তুলে দিয়ে যুক্ত করা হয় ২৫ নম্বরের আইসিটি। অথচ ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মান বণ্টনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নম্বর বরাদ্দ রয়েছে সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে। এমনকি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মান বণ্টনেও সাধারণ জ্ঞান বিদ্যমান। তা ছাড়া দেশের সব স্কুল-কলেজে এখনও পর্যাপ্ত আইসিটি শিক্ষক নেই। নেই মানসম্পন্ন আইসিটি শিক্ষার ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে হঠাৎ সাধারণ জ্ঞান সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে তদস্থলে আইসিটি যুক্ত করা নিয়ে বিপাকে শিক্ষার্থীরা। এ কথা অস্বীকার করার সুযোগ নেই- বর্তমান বাজারে আইসিটি বিষয়টির চাহিদা ঢের। সেদিক বিবেচনায় এনে আইসিটিতে কিছু নম্বর নির্ধারণ করা যেত। কিন্তু হঠাৎ সাধারণ জ্ঞান সম্পূর্ণ তুলে দিয়ে এত নম্বরের আইসিটি নির্ধারণ করা কতটা যৌক্তিক?
সর্বশেষ বিতর্ক উঠেছে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী বছর থেকে সেকেন্ড টাইম তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তেও। এবার সারাবছর শিক্ষা-কার্যক্রম কার্যত বন্ধ থাকায় সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেননি অনেক শিক্ষার্থী। তা ছাড়া করোনাকালে এবার ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থী অনেকেই অভাবের তাড়নায় কাজেকর্মে জড়াতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে, মেধা থাকা সত্ত্বেও পূর্ণ প্রস্তুতির অভাবে অনেকের স্বপ্ন সত্যি হয়ে ধরা দেয়নি। তাই অন্তত আরেকটি সেশনের জন্য দ্বিতীয় বারের সুযোগ বহাল রাখা উচিত।
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
বিষয় : গুচ্ছ পদ্ধতি
মন্তব্য করুন