ফাতিমা পারভীন |
ফাতিমা পারভীন
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২২ । ০০:০০
আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২২ । ০০:০২
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২২ । ০০:০০ । আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২২ । ০০:০২
নৌপরিবহনের যে সুবিধাগুলো কিংবা যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য যেসব ব্যবস্থা থাকা দরকার, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল ছিল। অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র থাকলেই হবে না, সেগুলো কার্যকর ছিল কিনা তাও দেখার বিষয়। একই সঙ্গে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্রু কখনোই নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেয়নি। আবার অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রটি থাকলেই হবে না, সেটি কবে সর্বশেষ ফায়ার ড্রিল হয়েছে; এ জবাবদিহি আমাদের নৌপরিবহন অধিদপ্তরের থাকবে। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য লাইফ জ্যাকেট কখনোই আশানুরূপ চোখে পড়েনি। নিরাপত্তাকর্মী কিংবা দক্ষ জনবল লঞ্চ মালিকরা কখনোই নিয়োগ করেননি। এ বিষয়ে জবাবদিহি চাইতে গেলে নৌপরিবহন মালিকরা সব সময় সরকারকে দোষারোপ করে আসছেন। সত্যি কথা হচ্ছে, দক্ষ জনবল গঠনে যেমন একটি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা রয়েছে, তেমনি একজন সফল ব্যবসায়ীর আছে দায়বদ্ধতাও।
নৌপরিবহন অধিদপ্তর উদাসীনতা, দায়িত্বে অবহেলা, দায়সারাভাবে পালিত দায়িত্ব, কর্তৃপক্ষের পরিবহন পরিচালন ও অব্যবস্থাপনা এবং অসাধুভাবে রুট পারমিট সার্টিফিকেট দিয়ে লক্কড়-ঝক্কড় নৌপরিবহনে কত নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিল! এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত, বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করে দ্রুত বিচারকার্য নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান
বিষয় : নিরাপত্তা ঝুঁকি
মন্তব্য করুন