প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
সমকাল ডেস্ক
আসলে কেমন? এ ধরনের ঘটনা কতটা স্বাভাবিক? পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন কারা বেশি- নারী না পুরুষ? গবেষণায় দেখা গেছে, পশ্চিমা বিশ্বের স্ব্বামীরাই স্ত্রীদের ঠকান বেশি।
স্ব্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাসহীনতার বৈজ্ঞানিক পরিমাপ করা কঠিন কাজ। কারণ, প্রায় সব দেশেই পরকীয়া সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য আচরণ। কোনো কোনো দেশে একে অপরাধ বলেই মনে করা হয়। তবে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে চালানো গবেষণায় জানা যাচ্ছে, স্ব্বামীরা স্ত্রীদের চেয়ে বেশি পরকীয়া করেন। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৬ সালে সোস্যাল সার্ভেতে জানা যাচ্ছে, বিবাহিতদের মধ্যে স্ত্রীকে লুকিয়ে অন্য নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেছেন এমন পুরুষের সংখ্যা নারীদের চেয়ে দ্বিগুণ। ব্রিটেনে ২০০০ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, একই সঙ্গে একাধিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন ১৫ শতাংশ পুরুষ। অন্যদিকে, নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৯ শতাংশ।
ফ্রান্সের ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ওপিনিয়নের জনমত জরিপ বলছে- প্রায় অর্ধেক ফরাসি এবং ইতালিয়ান পুরুষ স্বীকার করেছেন, জীবনের কোনো এক সময় তারা জীবনসঙ্গীকে ঠকিয়ে অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন। এই জরিপে ৩৪ শতাংশ ইতালিয়ান এবং ৩২ শতাংশ ফরাসি নারী পরকীয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
মানুষের যৌন আচরণ সম্পর্কে জানতে কনডম প্রস্তুতকারী কোম্পানি ডিউরেক্স ২০০৫ সালে একটি বিশাল জনমত জরিপ চালায়। ৪১টি দেশে মোট তিন লাখ ১৭ হাজার মানুষের মতামত নেওয়া হয়। এই জরিপে জানা গেছে, পরকীয়ার কথা স্বীকার করে এমন পুরুষের সংখ্যা তুরস্কে বেশি। অন্যদিকে ইসরায়েলের পুরুষরা পরকীয়া করলেও স্বীকার করতে একেবারেই নারাজ।
ব্রিটেনের অধিবাসীদের যৌনতা এবং জীবনযাপন পদ্ধতির ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার নাম ন্যাটসা। এর প্রধান বিশ্লেষক ড. ক্যাথরিন মার্সার বলেছেন, পুরুষদের তুলনায় নারীরা অবশ্য পরকীয়ার কথা স্বীকার করেন কম। যৌন আচরণের প্রশ্নে নারীদের প্রকাশ যে ভিন্ন, সে কারণেই এমনটা হয় বলে তিনি ব্যাখ্যা করছেন। স্বামীকে লুকিয়ে পরপুরুষের সঙ্গে প্রেম করেছেন- এ কথা তারা মোটেই প্রকাশ করতে চান না।
যৌনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বয়সও একটা বড় ভূমিকা পালন করে বলে তিনি জানান। পুরুষরা তাদের চেয়ে কম বয়সী মেয়েদের সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয়। বিবিসি।