উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু হতে যাচ্ছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি)। যবিপ্রবির উন্নয়নে প্রায় ২৮২ কোটি টাকার প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় এটি সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তার। যবিপ্রবির জন্য বিশাল উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়ায় এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এ অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জ্ঞাপন করেছেন তারা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ২৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। ওই সভায় বিশেষ আমন্ত্রিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তার।
উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, এর আগে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এককালীন এত উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এ প্রকল্পের আওতায় ২৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে যবিপ্রবির একাডেমিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
একনেকে অনুমোদিত এ প্রকল্পের আওতায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ১০ তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, ১০ তলাবিশিষ্ট ছাত্রাবাস, ১০ তলার ভিতের ওপর ৫ তলাবিশিষ্ট ছাত্রীনিবাস, ৬ তলা ভিতের ওপর দুই তলাবিশিষ্ট টিএসসি ভবন, ৩ তলা ভিতের ওপর দুই তলাবিশিষ্ট স্কুলভবন ও শেখ রাসেল জিমনেসিয়াম নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি মেডিকেল সেন্টারের দুই তলা ভবনকে ৬ তলায়, ৫ তলাবিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনকে ৯ তলায়, ৩ তলাবিশিষ্ট লাইব্রেরি ভবনকে ৬ তলায় উন্নীত করা হবে। এছাড়া গবেষণাগারের জন্য ২০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি, ২০ কোটি টাকার আসবাবপত্র ক্রয় ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রাস্তা, কালভার্ট নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে।
যশোর শহর থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে যশোর-চৌগাছা সড়কের আমবটতলায় ৩৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি এর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ২০০৯ সালের ১০ জুন চারটি বিভাগে পাঠদানের মধ্য দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ৬টি অনুষদে ১৮টি বিভাগে বিএসসি, এমএসসি, পিএইচডি, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ৩ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। সেশনজটমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বমানের আধুনিক উচ্চতর শিক্ষা কার্যক্রম এবং প্রায়োগিক ও বাস্তবমুখী গবেষণাকর্ম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

মন্তব্য করুন