প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
পাংশা ও কালুখালী উপজেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র আশ্রয়স্থল ৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দুই উপজেলার লোকসংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। যাদের বেশিরভাগই দরিদ্র।
২০১৫ সালের ২২ আগস্ট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএফএম শফিউদ্দিন পাতা বদলি হয়ে যাওয়ার পর এ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সিদ্ধার্থ শঙ্কর বিশ্বাস ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৩ সেপ্টেম্বর ডা. মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন দায়িত্ব গ্রহণ করে ছিলেন মাত্র এক মাস। ১৪ অক্টোবর ডা. মোহাম্মদ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ছুটিতে ছিলেন তিন মাস। ছুটি কাটিয়ে এ বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে তিনি কর্মস্থলে ফেরেন ঠিকই, তবে চলতি মাসের ১১ তারিখে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। ওই তারিখে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুফিয়া ইয়াসমিনকে। এভাবে একের পর এক বদলির কারণে হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজকর্মেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। হাসপাতালটিতে ৩১ জন চিকিৎসকের স্থলে বর্তমানে ১৮ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুফিয়া ইয়াসমিন বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি হাসাপাতালে যোগ দিয়েছি। নতুন কেউ না আসা পর্যন্ত সপ্তাহে দু'দিন হাসপাতালে যাব বলে ঠিক করেছি। তবে কোন দু'দিন যাব তা এখনও ঠিক করিনি। যোগ দেওয়ার পর হাসপাতালের যেসব সমস্যা আছে তা পরিবর্তনের চেষ্টা করছি।