
স্থানীয় বাসিন্দা সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক নূরুন্নবী রাসেল জানান, মঙ্গলবার রাতের কোনো একসময়ে কলেজের অদূরের ওই কার্পেটিং সড়কের বিশাল অংশ সুগন্ধা নদীতে ভেঙে পড়ে। একমাত্র এ সড়কটি দিয়েই কলেজের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগী-ডাক্তারসহ দুই ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। দ্রুত বিকল্প সড়ক নির্মাণ ও ভাঙন রোধ করা না হলে কলেজের আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা এবং উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি আমিনুর রহমান হাওলাদার বলেন, মাত্র এক রাতের ব্যবধানে ওই জিও ব্যাগসহ কার্পেটিং রাস্তার প্রায় দেড়শ' ফুট নদীতে বিলীন হয়েছে। এখনও বাকি রাস্তার মধ্যে প্রায় ৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের আরেকটি বিশাল ফাটল রয়েছে, যা যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়বে নদীতে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জেরিন আহমেদ জানান, অতিদ্রুত বিকল্প সড়ক নির্মাণ না হলে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।
এদিকে, নদীভাঙনের খবর পেয়ে বুধবার সকালে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল ওই এলাকা পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ভাঙন রোধে আমরা দ্রুত আপৎকালীন কিছু পদক্ষেপ নেব। কিন্তু ওই ভাঙন সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করতে হলে প্রয়োজন নদীশাসনসহ স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের জমিদাতা ও পৃষ্ঠপোষক সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন মোবাইল ফোনে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ও সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আপাতত জিও ব্যাগ এবং পার্কোপাইন দিয়ে আপৎকালীন প্রতিরোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সুগন্ধা নদীশাসনের মাধ্যমে এর গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে নদীভাঙনের স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। এ জন্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন