প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৯
জামালপুর প্রতিনিধি
কুলকান্দি ইউনিয়নে ভিজিডির সুবিধাভোগী দুস্থের সংখ্যা ২২৫ জন। এই অভাবী মানুষগুলোকে প্রতি মাসে ইউপি কার্যালয় থেকে মাথাপিছু ৩০ কেজি করে চাল অথবা পুষ্টি আটা দেওয়ার কথা। উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা জানান, গত মার্চ মাসের এ ইউনিয়নের বরাদ্দের পুষ্টি আটা ও এপ্রিল মাসের বরাদ্দের চাল এক মাস আগে উত্তোলন করে চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সনেট তার বাড়ির অস্থায়ী ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে যান। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, চেয়ারম্যান সনেট ঈদ উপলক্ষে বরাদ্দ আসা বিজিএফের চাল দুস্থদের না দিয়ে ভিজিডির সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ করবেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার তিনি ও সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সংশ্নিষ্ট ইউপির দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মো. জাকির হোসেন ওই ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে মজুদ পরীক্ষা করেন। এ সময় এপ্রিল মাসের বরাদ্দের ৪৫০ বস্তার মধ্যে ২০৬ বস্তা চাল দেখাতে ব্যর্থ হন চেয়ারম্যান। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সনেট তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে সন্তোষজনক কোনো জবাব দিতে পারেননি। দুস্থদের অভিযোগ, তিন মাস ধরে তারা বরাদ্দের চাল পাচ্ছেন না। চেয়ারম্যান সনেট তাদের চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। বিষয়টি তারা লিখিতভাবে ইউএনওকে অবহিত করেছেন।