- লোকালয়
- অবৈধ ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেই
লোকালয়
অবৈধ ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেই
কুষ্টিয়া পৌরসভায় যানজটে দুর্ভোগ
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০১৯
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
এদিকে পৌরসভার কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শহরে বেপরোয়াভাবে ইজিবাইক চলাচল করছে। অদক্ষ চালকের কারণে যেখানে-সেখানে ইউটার্ন নেওয়া ও যাত্রী ওঠানামাতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। চালকের বড় একটি অংশ শিশু-কিশোর। শহরে ইজিবাইকের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি জায়গায় দিনের বেশিরভাগ সময় যানবাহনের জট বেঁধে থাকছে।
পৌরসভার লাইসেন্স শাখা থেকে গত বছর ১ হাজার ২৪৮ জন শহরে ইজিবাইকের ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করেছিলেন। চলতি বছরের বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় ১ হাজারের মতো ইজিবাইক চালক লাইসেন্স করেছেন। এক বছরের জন্য একটি ইজিবাইককে ভ্যাট-ট্যাক্স মিলে ২ হাজার ২৫ টাকা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স করতে হয়। এরপর লাইসেন্স দেওয়া ইজিবাইকগুলো পৌর এলাকায় চলার অনুমিত পায়। ইজিবাইক চালক পরিষদের হিসাব মতে, শহরে অন্তত ৫ থেকে ৭ হাজার ইজিবাইক চলাচল করছে। ইজিবাইক চালকদের আলাদা সমিতি রয়েছে শহরে। তারা প্রতিদিন এসব ইজিবাইক থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন। ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ বলেন, তার পরিষদে ২ হাজার ৩৯টি ইজিবাইক আছে, সেগুলো শহরে চলাচল করে। এর বাইরে আরও ৬ হাজার ইজিবাইক শহরে চলছে, যেগুলো পৌরসভার বাইরে থেকে আসে। এগুলোই মূলত শহরে যানজট তৈরি করছে।
পৌরসভার লাইসেন্স শাখার পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি মাসেই অভিযান চালিয়ে ইজিবাইক আটক করা হয়। তাদের লাইসেন্স করতে বলা হয়। না করলে পৌরসভার ভেতরে আটকে রাখা হয়। এর পরও শহরে অর্ধেকের বেশি প্রায় তিন হাজার ইজিবাইক লাইসেন্স ছাড়া চলছে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, অবৈধ ইজিবাইক শহরে যানজট বাড়াচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশকে যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই সব পক্ষ উদ্যোগ নিলে ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হতো। কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, এ বছর থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শহরে ২ হাজার ইজিবাইক চলাচলের অনুমিত দেওয়া হবে। এর জন্য পুরো পৌরসভাকে ২৫টি রুটে ভাগ করা হয়েছে। লাইসেন্স নেওয়া ইজিবাইকে রুট স্টিকার লাগানো থাকবে। এক রুটের গাড়ি অন্য রুটে চলতে পারবে না।