প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০১৯
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
শুক্রবার তাদের প্রতিবেশী আবদুল জলিলের ছেলে নাসির উদ্দিনের মারধরে নাইম গুরুতর আহত হয়েছিল। ঘটনার পর তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শনিবার সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে নাইমের মৃত্যু হয়।
নাইমদের একটি গরু প্রতিবেশী নাসির উদ্দিনের পুকুর পাড়ে বাঁধা ছিল। বাঁধা থাকা অবস্থায় গরুটি নাসিরদের একটি কলাগাছ নষ্ট করে ফেলে। এতে পুকুরের পাড়ও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে নাসির নাইমকে ধরে বেধড়ক মারধর শুরু করে।
ছেলেকে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে মা মাহফুজা আক্তার ছুটে গেলে তাকেও মারধর করে নাসির। মারধরের এক পর্যায়ে মাথায় আঘাত করলে নাইম পুকুর পাড়েই পড়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। সেখানে নাইমের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে স্বজনেরা শনিবার তাকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল। পথে ভালুকা পৌঁছার পর দুপুর দেড়টায় নাইম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
অন্যদিকে শুক্রবার রাতে নাইমের পরিবারের লোকজন থানায় আসে মারধরের ঘটনায় একটি মামলা করার জন্য। স্বজনদের মুখে ঘটনার কথা শুনে পুলিশ গভীর রাতে আলীগরগাতি গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নাসির উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি মনসুর আহাম্মাদ জানান, মারামারি ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নাসির উদ্দিনকে আটক করে। আহত কিশোরের মৃত্যু হওয়ায় নাসিরের বিরুদ্ধে এখন খুনের মামলা হবে।