প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২১
ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে সুজন তার ছোট ভাই স্বপন সরকারকে ফোনে জানান, তিনি বাড়ির দিকে আসছেন। ঘণ্টাখানেক পর সুজনের পরিবারের পক্ষ থেকে পুনরায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সুজনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে চেষ্টা চললেও সুজনের কোনো সন্ধান মেলেনি। এর পরদিন ১৩ জুন রাতে সুজনের মোবাইল ফোনে চালু হওয়ায় সেটিতে কল দিলে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি রিসিভ করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি পুলিশকে লিখিতভাবে জানানো হয়। এ ঘটনায় উপজেলার চামরদানি ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে তানভীর হোসেনকে পুলিশ আটক করলে সুজন হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। তানভীরের দেওয়া তথ্যমতে, ঢাকার বাড্ডা থেকে এ ঘটনার মূল হোতা কাজল মিয়াকে আটক করে পুলিশ। সে চামরদানি ইউনিয়নের টেপিরকোনা গ্রামের লালচাঁন মিয়ার ছেলে।
এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সুজনের মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েছে তার পরিবার। সুজনের ছোট ভাই স্বপন পরিবার থেকে দূরে অবস্থান করছেন। ফলে সুজনের মা পুত্রবধূ ও সুজনের দুই সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। মামলা চালাতে গিয়ে ভিটেবাড়ি ব্যতীত ফসলি জমি বন্ধক দিতে হয়েছে। এতে খেয়ে না খেয়ে কোনো রকমে দিন চলছে তাদের। জামিনে থাকা আসামিরা মামলা তুলে নিতে পরোক্ষভাবে পরিবারটির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
সুজনের মা সাবিত্রী সরকার বলেন, 'আমার ছেরা (ছেলে) মরার হর থাইক্যা খাইয়া না খাইয়া কষ্টের মাঝে দিন কাডাইতাছি। যেহানে খাইয়া বাঁচাই দায়, হেইনো মামলা চালাই ক্যামনে? আমার ছেরারে যারা মারছে, আমি তারার বিচার চাই।'
মধ্যনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নব গোপাল দাস বলেন, 'আসামিপক্ষ থেকে যদি মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হয়, তাহলে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'