ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি |
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২১
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২১
বাবার সঙ্গে মেহেদী হাসান আকন্দ পিয়াল - সমকাল
পৌর এলাকার মেদারপাড় গ্রামের মাহতাব উদ্দিন আকন্দের ছেলে আবদুল কাদের আকন্দ কাজল এইচএসসি পাস করলেও নিজের জন্য জোটাতে পারেননি কোনো চাকরি। সহায়-সম্বল না থাকায় ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি টং দোকানে পান-সিগারেটের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ২০-২৫ বছর ধরে ওই একই ব্যবসায় তিনি এখনও। কাজল ও মিনারা বেগম দম্পতির প্রথম সন্তান পিয়াল। কাজলের দিনকার রোজগারে সংসার চালানোই ছিল দায়। তবু সন্তানের অনাগত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ওই দম্পতি পিয়ালকে ভর্তি করেন স্থানীয় কিন্ডারগার্টেন শুকতারা বিদ্যানিকেতনে। পিইসি ও জেএসসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়ার মাধ্যমে তার সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটতে থাকে। নজর কাড়তে থাকে সক শিক্ষকের। শুকতারা বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন আকন্দ ও সাইন্সল্যাব কোচিং সেন্টারের শিক্ষক সাজু, সুফল, ইমরান ও রনির সার্বিক সহযোগিতা ও তাদের নিবিড় পরিচর্যায় এসএসসিতে জিপিএ ৫ পায় পিয়াল। তবে গোল্ডেন না আসায় মন ভেঙে যায় তার। সেই কষ্ট আর লেখাপড়া খরচের কথা চিন্তা করে স্থানীয় নজরুল ডিগ্রি কলেজে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়। তাকে হতাশামুক্ত করে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যুগিয়ে তার পাশে দাঁড়ান দুই শিক্ষক সাজু ও সুফল। পিয়ালকে ভর্তি করেন ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে। আনন্দ মোহন কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে জিপিএ ৫ পেয়ে পাস করে এইচএসসি। এরপর মেডিকেলে সুযোগ পেতে মেডিকো কোচিংয়ের ময়মনসিংহ শাখায় ভর্তি হয়। ভর্তি পরীক্ষায় ৮৪ নম্বর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ফলাফল তালিকায় ৩০তম স্থান অর্জন করেছে সে।
মেহেদী হাসান আকন্দ পিয়াল জানায়, কঠোর পরিশ্রম তো করেছিই। অতঃপর মা-বাবা, শিক্ষক ও স্বজনের উৎসাহ, অনুপ্রেরণা, সাহস ও সহযোগিতায় আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি।
মন্তব্য করুন