সুন্দরবন রক্ষায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বনের আশপাশে সব ধরনের শিল্প স্থাপন বন্ধ করতে হবে। সব স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব দাবি জানান। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বাপার সহসভাপতি সৈয়দ আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. আবদুল মতিনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল প্রমুখ।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, রামপাল প্রকল্পটি অস্বচ্ছ, দুরভিসন্ধিমূলক ও গণবিধ্বংসী। সরকার কার স্বার্থে এবং কাকে খুশি করতে আত্মঘাতী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে তা বোধগম্য নয়। তিনি সুন্দরবনবিধ্বংসী এ প্রকল্প বাতিলের দাবি জানান।

সুলতানা কামাল বলেন, সুন্দরবনবিনাশী একের পর এক সরকারি পদক্ষেপে সবাই উদ্বিগ্ন। বায়ুদূষণ এমন মাত্রায় গেছে, যার ফলে বাংলাদেশের মানুষের আয়ু কমে যাচ্ছে। কারণ সুন্দরবন হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার ফুসফুস।

ডা. আবদুল মতিন বলেন, জনগণ আশা করে বিশেষ মহলের স্বার্থ রক্ষা না করে, দেশের সম্পদ-পরিবেশ ও জনস্বার্থে সুন্দরবনবিনাশী কার্যক্রম বন্ধে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেবেন।

অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, তারা দীর্ঘ বছর ধরে সুন্দরবন নিয়ে আন্দোলন করছেন। এমনিতেই পরিবেশ দূষণের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৭৯তম। তার ওপর সুন্দরবন ধ্বংস হলে এর ফল কী দাঁড়াবে তা কল্পনা করা যায় না।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তারা কখনও উন্নয়নের বিরোধী নন। কিন্তু উন্নয়নের নামে ব্যবসায়ীদের হাতে বাংলাদেশের পরিবেশ আজ জিম্মি। তিনি সরকারের কাছে সুন্দরবনের ভেতর শিল্পকারখানা বন্ধের জোর দাবি জানান।

মন্তব্য করুন