
জনিক নকরেক (১৯১৪-২০২১)
মান্দি বা গারো জাতির সৃষ্টিপুরাণ মতে, বাগবা-বরম্বির চিপাংফাকসা (তলপেট) থেকে দুনিয়ার সব প্রাণসত্তার জন্ম ও বিকাশ ঘটেছে। চিগেলবাড়িওয়ারিখুট্টি নামের এক জলমগ্ন জঙ্গলদ্বীপে জীবনের প্রথম চিহ্ন মেলে। তারপর মান্দি মানুষের বিস্তার, পরিভ্রমণ ও সভ্যতা গড়ে উঠেছে দুনিয়ার নানাপ্রান্তে। মান্দি ভূবিদ্যা অনুযায়ী এই বসতিস্থল হাবিমা, হারঙ্গা ও হাফাল এই প্রধান তিন অংশে বিভক্ত। হাবিমার বড় অংশটি ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার এক প্রাচীন শালবন মধুপুরে। অধুনা ক্ষয়িষ্ণু এই শালবনের এক প্রাচীন গ্রামের নাম চুনিয়া। এ গ্রামেই দীর্ঘসময় ধরে বিশিষ্ট স্কুথং (দার্শনিক) জনিক নকরেক বিকশিত করেছেন এক উন্মুক্ত সংহতির জ্ঞানবলয়। গ্রামবাসী থেকে শুরু করে দেশ ও দেশের বাইরের অগণিত শ্রেণি-পেশা-লিঙ্গ-ধর্ম-জাতির মানুষেরা এই জ্ঞানবলয়ে নানা সময়ে সঙ্গ দিয়েছেন। নিজেদের বাহাস, বিশ্নেষণ, বিদ্যার তল সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের বিশেষ জীবনভঙ্গিমার ব্যাকরণে জনিক নকরেক ক্রমেই সর্বজনের ভরসাস্থল হয়ে ওঠেন। টিকে থাকা মুখোশপরা মিথ্যার দরবার আর মরচে পড়া সব বিবাদ জনিকের উন্মুক্ত সংহতিবলয়ে বারবার রক্তপাতহীনভাবে চুরমার হয়েছে। জনিক নকরেক সর্বদা এক প্রকৃতির এক বিজ্ঞান সত্যকে প্রতিষ্ঠার সাধনা করেছেন। বলার চেষ্টা করেছেন, এই দুনিয়া কেবল মানুষের নয়, এখানে সব প্রাণের সমানভাবে বাঁচার নিজস্ব কায়দা ও অধিকার আছে। উচ্চারণ করেছেন, প্রাণশক্তির কোনো ক্ষয় বা বিনাশ নেই, শক্তি কেবল এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত হয়। জনিক নকরেকের এই চিন্তাদর্শনকে মান্দিকুসুকে (মান্দিদের আচিক ভাষায়) বলে 'সাংসারেক'। খুব সরল এবং কিছুটা ঔপনিবেশিক কায়দায় একে প্রায় সময়েই 'গারোদের আদি সাংসারেক ধর্ম' হিসেবে কেবল পরিচয় করানো হয়। অমুদ্রিত ও পাঠ্যপুস্তকবিহীন এ জীবনদর্শন কেবল কিছু কৃত্য-উৎসব পালনের সঙ্গে সম্পর্ক নয়। এও এক জীবনবিধান, যার ভেতর দিয়ে গড়ে উঠেছিল গর্বিত মান্দি সভ্যতা ও আদি দাকবেওয়াল (সংস্কৃতি)। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে ধর্মান্তকরণের ফলে এই সাংসারেক জীবনবিধান ও দর্শনের রূপ কীভাবে প্রভাবিত হয় কিংবা মানুষসহ একটি বাস্তুতন্ত্রে এর কী প্রভাব পড়ে তা নিয়ে এখনও কোনো বিস্তর গবেষণা নেই। মান্দি ভাষায় জ্ঞানবাক্য বোঝাতে 'আগানমিয়াফা' প্রত্যয়টি ব্যবহূত হয়। জনিক নকরেক একটি আগানমিয়াফায় বলেছেন, দুনিয়ায় কারণ ছাড়া কোনো কিছুই ঘটে না, সব কিছুরই কারণ থাকে। জনিকের ভাষ্য হলো, এই কারণ কেবল মানুষের সমাজে, তার মিজাম (গোলাঘর), নকমান্দি (ঘর) কিংবা বিবাদ কী ভালোবাসায় বিস্তৃত থাকে না। এই কারণের বহু ডাল কি শিকড় ছড়িয়ে আছে মেঘ, পাতাল, পিঁপড়া, শামুক, বাঘ, বৃক্ষ, পাখি, মাছ, পতঙ্গ কী অদেখা প্রাণেরও জীবন সংসারে। জটিল ও ক্রিয়াশীল চিন্তা জনিক নকরেক অনুশীলন করেছেন, ব্যক্ত করেছেন, বহুমাত্রিক বিশ্নেষণ করেছেন জীবনভর। ২০২১ সালের ১২ নভেম্বর জনিক নকরেকের মহাপ্রয়াণ ঘটেছে। জনিক নকরেক আমার প্রণম্য শিক্ষক, ২০০০ সালের এক ভাদ্রের দুপুরে তার চরণধূলি স্পর্শের সৌভাগ্য ঘটে। মান্দি সমাজে দাদু বা নানা বা সম্মানিত প্রবীণ পুরুষদের 'আচ্চু' ডাকা হয়, যেমন নারীদের 'আম্বি'। জনিক নকরেক কেবল তার পরিবার বা গ্রাম নয়, হয়ে উঠেছিলেন আমাদের সবার 'আচ্চু'। চলতি লেখাটি কোনো শোকগাথা বা স্মৃতিকথা নয়; এক আচ্চুর প্রতি তার এক নিদান নাতির অগোছালো নামনিকা (ভালোবাসা)।
গর্বিত বংশলতিকা
জনিকের একটি আগানমিয়াফাতে আছে, অন্তরে আপন ইচ্ছায় জ্ঞান জন্মে না, বহুজনের সঙ্গে মেলামেশা করলে ও জ্ঞানপুস্তক পড়লে জ্ঞান জন্ম নেয়। জ্ঞানের সন্ধানে জনিক তাই ভ্রমণ করেছেন দীর্ঘ পথ, মিশেছেন বহু মানুষ ও সমাজের সঙ্গে। হাবাহুয়া বা জুম আবাদের জন্য আদি মান্দি সমাজ বছর বছর পরিভ্রমণ করেছেন বহুদূর পাহাড় ও নদী অববাহিকা। বর্তমান ভারতের মেঘালয়ের তুরা পাহাড় থেকে আখেং মৃ ও রাংসি নকরেক আবিমায় মধুপুর শালবনে আসেন। তাদের কন্যা সেংমি নকরেক। সেংমি ও বুয়া মৃর কন্যা খেমরি নকরেক। খেমরি ও আথং মৃর কন্যা বালমি নকরেক। বালমমি ও শালমণি চিরানের কন্যা ওয়ানচিমণি নকরেক। ওয়ানচিমণিরা একসময় বাংলাদেশের বাঘরালক্ষিন্দর গ্রাম থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুরের কাছে বিশামনিজলাতে চলে যান। সেখানেই ওয়ানচিমণি ও অতিন্দ্র মৃর পরিবারে ১৩১৭ বাংলার ৫ চৈত্র জনিকের জন্ম। মধুপুর শালবনের প্রাচীন গ্রাম চুনিয়ার নলজ মৃ ও সারিনাথ মারাকের কন্যা অনিতা মৃ ছিলেন পরিবারের নকনা (মান্দি আইন অনুসারে বংশগত সম্পদ ও জমির উত্তরাধিকার)। অনিতা মৃর জন্য জনিক নকরেককে নক্রম বা জামাই আনা হয়। পরবর্তীতে জনিকের সমগ্র জীবন এই মধুপুর শালবনে চুনিয়া গ্রাম ঘিরে অতিবাহিত হয়েছে।
সাংসারেক জীবনভাষ্য
সাংসারেক ধর্মানুসারীদের পুরোহিতকে মান্দিকুসুকে বলে 'খামাল'। জনিক নকরেক দীর্ঘ জীবনে দুনিয়া কাঁপানো সব খামাল ও স্কুথংদের সান্নিধ্য পেয়েছেন। চিজিং জেংচাম, তুষাণ মৃ, জীবাংল মৃ, উসমান মাংসাং, জানিন নকরেক, মিজি মৃ কিংবা সংগ্রাম সামপাল। নিজের ছোট ভাই নেতা নকরেক গ্রামে গ্রাম নানা আমুয়ায় (পূজা-কৃত্য) খ্রীতা (মন্ত্র) পাঠ করতেন। কিন্তু জনিক সর্বদাই উচ্চারণ, উপস্থাপনের রীতি, ধরন, নিয়ম ঠিক করে দিতেন। দীর্ঘ চর্চার ভেতর দিয়ে জনিকও হয়ে উঠেছিলেন একজন কিংবদন্তি খামাল। বিস্তারিতভাবে থ্রু সা (সত্যযুগ), থ্রুগ্নি (ত্রেতা), থ্রু গেত্তাম (দ্বাপর) এবং থ্রুব্রি (কলি) যুগের বিস্তার ব্যাখ্যা করতে পারতেন জনিক। মূলত আবেং মান্দিদের ভেতর একদা প্রচলিত থাকা ১২৪ মান্দি মিদ্দি (দেবতা) ও পূজার নাম তিনি একটি খাতায় লিখেছিলেন। তার খুব ইচ্ছা ছিল মান্দি প্রথাগত আইন নিয়ে একটি পুস্তক রচনার। রে-রে, আজিয়া, শেরানজিং এবং বহু মান্দি মিথ তিনি বিবরণ ও বিশ্নেষণ করেছেন। নিয়ম করে প্রতি বছর আষাঢ় মাসে হাবামুয়া (জুমকৃত্য) ও রূগালাকৃত্য করেছেন। ২০০১ সালে তার তত্ত্বাবধায়নে পুরো মধুপুরে প্রায় ১৫৭ জন প্রবীণ সাংসারেক অনুসারীর তালিকা করেছিলাম। ২০০৩ সালে তার বাড়িতে আবার আদি সাংসারেক নিয়মে ওয়ান্না ও গালমাকদুয়া উৎসব শুরু হয়। ২০০৪ সালে চন্দন মাংসাংকে দিয়ে প্রথম মান্দি দেবতাদের প্রতিকৃতি আঁকানোর সাহস করেন। আসংদেনা থেকে দেনব্রেসিয়া কিংবা দোদক্কা রীতিতে বিবাহ থেকে শুরু করে মৃত্যু পরবর্তী কৃত্য দেলাং সোওয়া সবই তিনি দেখিয়ে গেছেন। এমনকি মৃত্যুর মাত্র কয়েক মাস আগেও করোনা মহামারিকালে আদি নিয়মে মহামারি সামালের কৃত্য 'দেনমারাংআ' করে কীভাবে গ্রামবন্ধ করা হয় তাও শিখিয়ে গেছেন। অরণ্যবিজ্ঞানের প্রসঙ্গ উঠলেই জনিক আচ্চু শালবনের ভেতর পবিত্র মিদ্দি আসং বা সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চল ও মাংরুদাম (শ্মশান) কীভাবে একটি বাস্তুতন্ত্রকে বৈচিত্র্যময় করে সেই 'সংরক্ষণবিদ্যার' জটিল সব কারিগরি বয়ান করতেন।
প্রাণের বিরল আওয়াজ
জুম আবাদ নিষিদ্ধ হওয়ার পরও জনিক প্রায় ২০ রকমের মিমান্দি (জুম ধান) প্রতি বছর ছোট্ট এক টুকরো জমিনে চাষ করে দীর্ঘ সময় ধরে সেসব প্রাণসম্পদ সংরক্ষণ করেছিলেন। দেমব্রা জাগেদং আর সারেংমা রংথাম্বেনের মতো ভার্চুয়াল ধানের কথা তিনি বলেছিলেন। যে ধান শরীর নিয়ে নয়, বরং রূপকল্পে বিরাজিত থাকত। জুম পাহারা দিত। কেবল ধান নয়; মিগারু, মান্দি জালিক, মান্দিবারেং, মিখপ, ফং, রাও, থাবুলচুসহ নানা জুম ফসলেরও বীজও তিনি প্রতিবেশীদের নানাজনকে বিনিময় করেছেন। যৌবনে মধুপুর বনে শিকার করেছেন। ময়ূর, বাঘ, হাতি, বনরুই, লজ্জাবতী বানর, চামড়াঝোলা ব্যাঙ, অজগরের মতো অধুনাবিলুপ্ত প্রাণীদের মধুপুর বনে দেখার বিরল স্মৃতি আছে তার। আমেনসেপ, আরুয়াক, দজু, বাকোয়াই, থিকরিং, থিরিক কালোয়াং, আমাংসিপ্রেত, ডেঙ্গাদদির মতো দুষ্প্রাপ্য ফল খাওয়ার অভিজ্ঞতা ঘটেছে জনিকের। জনিকের কাছ থেকে মানবসভ্যতা বিকাশ ও বিবর্তনের বহু সূত্র ছিল। মান্দি বা বর্তমানের 'হোমো স্যাপিয়েন্স' মানুষ ছাড়াও তিথেং এবং মাচ্ছি গেনাল নামের আরও দুই প্রজাতির মানুষের কথা উল্লেখ করেছেন জনিক। জনিক বহুবার সংদী বা ব্রহ্মপুত্রের কথা বলেছেন। রংদী, মাহাদেও, সিমসাং ধারার প্রসঙ্গ টেনেছেন। জমির ভূভাগ, চালা-বাইদ ও জলাভূমির গুরুত্ব বিশ্নেষণ করেছেন। জনিকের মতে, নদী হলো সংসারের স্মৃতিকথা। মানুষ কিংবা মাছের বা কোনো গাছ কি পাখির। শালবনে উইঢিবির তলায় উইপোকা শতসহস্র সরু নালা তৈরি করে, মেঘের পর মাটির তলায় সেইসব সরু নালা দিয়ে জল প্রবাহিত হয়ে মিশে আরেক কোনো নদীর ধারায়। নদী উজান থেকে ভাটিতে বয়ে নিয়ে যায় উচ্চারিত কি অনুচ্চারিত সব স্মৃতিকথা।
রাজনৈতিক সান্নিধ্য
১৯৫০ সালে প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে জোর করে মধুপুরে জুম আবাদ নিষিদ্ধ করা হয়। প্রতিষ্ঠিত সচ্ছল সব মান্দি গ্রাম এক ধাক্কায় 'গরিব' হয়ে যায়। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে মান্দিদের সহস্র বছরের 'বলসাল ব্রিং'-এর নাম পাল্টে ফেলে বর্ণবাদী পাকিস্তান সরকার। বনের ভেতর প্রাচীন সব মান্দি গ্রামসমেত প্রাচীন এই অরণ্যভূমির নাম হয়ে যায় 'জাতীয় উদ্যান'। ঔপনিবেশিক এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রথমেই গর্জে ওঠে চুনিয়া গ্রাম। পরেশ চন্দ্র মৃ, জনিক নকরেকরা এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। পরবর্তী সময়ে 'জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের' মাধ্যমে মধুপুর বন রক্ষার লড়াই আরও দৃঢ় হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর যখন দোখোলা গেস্ট হাউসে সংবিধান প্রণীত হচ্ছে তখন জনিকের সঙ্গে অনেকের আলাপ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর জনিক নকরেকের এক অবিস্মরণীয় সাক্ষাৎ ঘটেছিল মধুপুর শালবনে। ২০০৪ সালের মধুপুর ইকোপার্কবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে নানা সময়ে নানা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে যখনই গ্রাম ও আদিবাসী উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে, জনিক সর্বদাই প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশ 'আদিবাসীকেন্দ্রিক' জাতীয়তার তর্ককে জনিক বহু সরল করে বারবার আলাপে টেনেছেন। বলেছেন, ১৯৬২ সালেই তারা ঘোষণা করেছিলেন, আমরা মধুপুর গড়ের 'আদিবাসী জনগণ'।
আচ্চুর অবদান
দুনিয়ায় সবার অবদান আছে, এখানে কেউ শ্রেষ্ঠ হতে পারে না, কেউ ছোট হতে পারে না। এটি জনিকের আরেকটি আগান মিয়াফা। মধুপুর শালবন সুরক্ষায় জনিকের অবদান অনস্বীকার্য। ফসলের জাতবৈচিত্র্য সুরক্ষা থেকে শুরু করে প্রাণসম্পদ সুরক্ষায় তার নিজের ব্যক্তিজীবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। জনিক প্রায় ১১১ বছর বেঁচেছিলেন, ভোগবিলাসিতা আর বাহাদুরির ছলকে দূরে সরিয়ে রেখেই। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বা কার্বন নিঃসরণ তার জীবনে খুবই কম ঘটেছে। সদা প্রাণচঞ্চল, হাস্যমুখর, রসবোধসম্পন্ন এই মানুষটির দীর্ঘজীবনের রহস্য তার প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাস ও বিশেষ জীবনযাপন। আজীবন ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে আবুয়া (গোসল) করেছেন। এ কারণে আলাদা জ্বালানি ব্যবহার করেননি। সকালবেলা একটা পাত্রে রোদের তলায় পানি রেখে দিয়ে দুপুরে স্নান সারতেন। যে কোনো তথ্য ও তত্ত্বের বহুমাত্রিক বিশ্নেষক এই মানুষটি সর্বদাই প্রাণের সঙ্গে প্রাণ, জীবনের সঙ্গে জীবন মেলাবার কথা বলেছেন। বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক, লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী, কবি, অ্যাক্টিভিস্ট, সংগঠক, সংস্থা, পর্যটকের গবেষণা, কাজ ও শিল্প আঙ্গিক সমৃদ্ধকরণে তিনি সরাসরি অবদান রেখেছেন। জনিক নকরেক প্রমাণ করেছেন, তিনি সব সময়ের জন্যই জরুরি এবং অপরিহার্য। সব প্রাণের মাঝে সংহতি তৈরিতে এক মায়াময় উন্মুত্ত কারিগরি তিনি ছড়িয়ে গেছেন আজীবন।
লেখক ও গবেষক
animistbangla@gmail.com
বিষয় : শ্রদ্ধাঞ্জলি পাভেল পার্থ জনিক নকরেক
মন্তব্য করুন