কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেলপথ উদ্বোধনের এক বছর পার হলেও জনবলের অভাবে সাতটি রেলস্টেশন ও লোকাল ট্রেন চালু হয়নি।
ফলে স্থানীয়দের একটি বিরাট অংশ রেল পরিসেবার সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
রাজবাড়ী রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কালুখালী থেকে ভাটিয়াপাড়া পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে ১২টি রেলস্টেশন রয়েছে। এগুলো হলো_ রামদিয়া, বহরপুর, আড়কান্দি, নলিয়াগ্রাম, মধুখালী জংশন, সাতৈর, বোয়ালমারী, সহস্রাইল, বনমালী (কাজ অসম্পূর্ণ), ব্যাসপুর, কাশিয়ানী ও ভাটিয়াপাড়া। এর মধ্যে বহরপুর, মধুখালী, বোয়ালমারী, কাশিয়ানী ও ভাটিয়াপাড়া রেলস্টেশন চালু রয়েছে। অন্য ৭টি স্টেশনের অবকাঠামোসহ সব সুবিধা থাকা সত্ত্বেও জনবলের অভাবে এগুলো চালু করা সম্ভব হয়নি বলে ওই সূত্র জানিয়েছে। কালুখালী থেকে ভাটিয়াপাড়া পর্যন্ত স্টেশনের বিভিন্ন দপ্তরে মোট ৩২৫টি পদ রয়েছে। এখানে মাত্র ৫৫ জন কর্মরত রয়েছেন। এ ছাড়া ভাটিয়াপাড়া-কালুখালী রেলপথের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১১২টি পদ রয়েছে। এখানে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২১ জন। জনবল শূন্য রয়েছে ৯১টি।
ভাটিয়াপাড়া স্টেশন মাস্টারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস নামে একটি আন্তঃনগর ট্রেন প্রতিদিন এ রুটে একবার যাতায়াত করে।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ব্যাসপুর গ্রামের শেখ আহাদুল হাসান বলেন, ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজবাড়ীর পাংশার জনসভায় কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেলপথে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন।
ওই দিন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক কালুখালী থেকে গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়ায় একটি মেইল ট্রেন নিয়ে যান। তারপর থেকেই এ রুটে মেইল ট্রেন দিনে একবার আসা-যাওয়া করছে। এই রেলপথ ১৯৯৭ সালের ১৯ আগস্ট থেকে বন্ধ ছিল। এ রুটে একটি লোকাল ট্রেন চালু করার কথা ছিল। কিন্তু তা এখনও চালু হয়নি।

রাজবাড়ী রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী সুলতান আলী জানান, জনবল নিয়োগ না করায় ৭টি রেলস্টেশন চালু করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন