প্রিয় বান্ধবী ডেঙ্গু

ছাত্রজীবনে তোমার ভালোবাসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। যেটার মাশুল এখনও আমি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। যে ফিজিক্স-কেমিস্ট্রিকে ভালোবেসে একদিন তোমার চিঠির জবাব দিইনি, সেই ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি এখন অন্যের ঘরের মশারি আটকায়। টর্চলাইট দিয়ে মশা মারে। তোমাকে পরীক্ষার খাতা দেখাইনি বলে তুমি যে সাবজেক্টে ফেল করেছিলে, সে একই সাবজেক্টের প্র্যাক্টিক্যালে আমার রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। তুমি ভাবছ আমি অনেক সুখে আছি! আমি এই হাসপাতাল ওই হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে এখন অ্যাডমিশন নিতে পারি না। হাসপাতালের বারান্দায় তোমার বান্ধবীদের লাউড স্পিকারের গানের জ্বালায় ঘুমাতে পারি না। রেস্টুরেন্টে গিয়ে তুমি যে স্যুপ খেতে চেয়েছিলে সেই স্যুপ ডাক্তার স্যালাইনের মাধ্যমে এখন আমাকে দিচ্ছে। তোমাকে মনে পড়ে ব্যথায় ব্যথায়, শিরায় শিরায়!

আজ তুমি বংশবিস্তারের মাধ্যমে আমাদের পাড়ায়-মহল্লায় সর্বত্র সুখে বসবাস করছ। চারদিকে তোমার কত নামডাক। সিটি করপোরেশন দাদুরা নাকি তোমার দূরসম্পর্কের আত্মীয়। তাদের আতিথেয়তায় তোমাদের ভালোই দিনকাল যাচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেসবাসী জন এডিসের সঙ্গে তুমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে, তা তোমার ফেসবুকের পপুলারিটি দেখেই বুঝতে পেরেছি।

সিটি করপোরেশন দাদুরা নাকি তোমাদের আপ্যায়নের জন্য বিমানে করে স্যুপ আমদানি করছে। তাই তোমার কাছে রিকোয়েস্ট, তুমি দ্রুত অ্যাঞ্জেলেসে চলে যাও। কারণ, হয়তো এই ভেজাল স্যুপ খেয়ে তুমি আর এ দেশে বেশি দিন টিকতে পারবা না। এখানকার আবহাওয়াও তুমি মানিয়ে নিতে পারবা না। এখানকার মানুষ অনেক পলিটিক্যাল!

আশা করি, তোমার সঙ্গে আর কখনও দেখা হবে না!

শুভ বিদায়!



ইতি

তোমার সাবেক ক্রাশ!



হ ডুয়েট, গাজীপুর

মন্তব্য করুন