ফুলে ফুলে সাদা কাশবন
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
সাফিয়া সাথী
নিত্যউপহারের স্বত্বাধিকারী বাহার রহমান এ বিষয়ে বলেন, শরতের সময়ে আমরা টি-শার্ট বা শাড়ির মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করে থাকি স্বস্তিকা ও গণেশ, রঙে থাকে উজ্জ্বল রঙগুলো। শাড়ির ম্যাটেরিয়াল হিসেবে সুতি বেশি ব্যবহার করা হয়। পোশাকের তালিকায় শাড়ি, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে থাকতে পারে টি-শার্ট, কুর্তি, টিউনিক ও টপ্স। ভালো লাগবে স্কার্ট। প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে পরা যায় আসমানি স্কার্টের সঙ্গে সাদা টপ্স। আবার গাঢ় নীল রঙের ঢোলা সালোয়ারের সঙ্গে হালকা ছাই রঙের টিউনিক, যেটা শরতের আকাশে মেঘের ছায়ার আভা তৈরি করবে মনে।
দেশি ব্র্যান্ডগুলো সবসময়ের মতোই প্রস্তুত শরতের পোশাক সংগ্রহ নিয়ে। প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে রঙিন হয়ে ওঠার সময় শরৎ। আড়ং, অঞ্জন'স, দেশাল, নিপুণ কদ্ধ্যাফট, নিত্যউপহার, কুমুদিনি ইত্যাদি ব্র্যান্ডের পাশাপাশি বুটিক শপগুলোতেও পাবেন এ সময়ের জন্য মানানসই পোশাক। এ সময়ের সাজ কেমন হতে পারে তা নিয়ে কথা হচ্ছিল রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচির সঙ্গে। তিনি বলেন, 'এই সময়ের লুক হওয়া চাই একটু ন্যাচারাল। প্রথমেই প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে, ফাউন্ডেশন ও কম্প্যাক্ট পাউডার দিয়ে এই সময়ের সাজের বেজ করে নিতে হবে। কাউন্টারিংয়ের ওপর জোর দিতে হবে। দিনের সাজে কাউন্টারিং বেশি করতে হবে, যা প্রমিনেন্ট লুক আনবে। এ সময়ের সাজে ব্ল্যাশন হবে একেবারে হালকা। হালকা গোলাপি বা বাদামি ব্ল্যাশন দিয়ে একটি স্নিগ্ধ ভাব তৈরি করা যায়। চোখের সাজে অবশ্যই পানিনিরোধী উপাদান ব্যবহার করতে হবে। হালকা নীল ও গাঢ় নীলের মিশ্রণ থাকতে পারে চোখের রঙে। হালকা স্মোকি করে আইশ্যাডো লাগিয়ে ফলস আইল্যাশ লাগিয়ে নিতে হবে। খুব ঘন করে মাশকারা লাগিয়ে ভলিউম তৈরি করে নিলে চোখটা আকর্ষণীয় দেখাবে। তবে পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়েও আইশ্যাডোর রঙ নির্ধারণ করা যেতে পারে। হালকা বাদামি ও গোলাপি, পিচ কালারের লিপস্টিক ভালো লাগবে। এ সময়ে অবশ্যই সাজকে ভিন্ন মাত্রা দেবে ছোট একটি টিপ। সবকিছু মিলিয়ে সাজ পোশাকে হালকাভাব এনে দেবে স্বস্তির এক পরশ। এখন যেহেতু বাইরে রোদ আর বৃষ্টির খেলা চলে একই সঙ্গে, তাই সাজের ক্ষেত্রে উপকরণটি হতে হবে পানি নিরোধক। এ সময়ে খুব ভারি মেকআপ যেমন স্বস্তিকর নয়, তেমনই অন্যদের কাছেও তা দৃষ্টিকটু লাগবে। এ কথা মনে রেখে সাজের ক্ষেত্রে হতে হবে বেশ সচেতন। প্রকৃতিজুড়ে সাদা আর নীলের মাখামাখির এ সময়ে স্নিগ্ধ থাকুক সাজ। হাত ভরে কাচের চুড়ি পরতে ভুললে চলবে না। শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ দুইয়ের সঙ্গেই কাচের চুড়ি মানাবে। এ সময়ে চুলের ধরন বুঝে স্টাইল করতে হবে। শাড়ির সঙ্গে খুব সহজেই হাত খোপা করে নেওয়া যায়। চুলে বাহারি ফুলের ব্যবহার ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। ঘাসফুল, কাঠ গোলাপ, বেলী, দোলনচাঁপা খোঁপায় গুঁজে দাওয়াত বা যে কোনো অনুষ্ঠানে চলে যাওয়া যায়।' শরতের সময়ে আকাশজোড়া নীল মেঘ আর দিগন্তজোড়া কাশবন মুগ্ধ করে। নগরের ইট-কাঠ-পাথরের মাঝে একরাশ স্নিগ্ধতা নিয়ে আসে শরৎ। ব্যস্ত শহরে এ সময়ে তাই ছুটে যান মোলায়েম কাশের সন্ধানে। নীল মেঘের নিচে কাশের সারি তৈরি করে অপার্থিব সৌন্দর্য। নগরের বিভিন্ন স্থানে এ সময়ে দেখা যায় কাশের মেলা। চলে যেতে পারেন আফতাবনগর, দিয়াবাড়ি, বসিলা, তিনশ' ফুটের রাস্তার দু'ধারজুড়ে। যে কোনো দিন সকাল অথবা বিকেলে ঘুরে আসতে পারেন কাশের বনে। মনে একরাশ উচ্ছ্বাস নিয়ে ফিরে আসতে পারবেন নীড়ে।
মডেল :রিজভী ও বারিশ
পোশাক :নিত্যউপহার
মেকআপ : বিন্দিয়া
ছবি : রনি হোসেন