প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
সাইফুল হক মোল্লা দুলু
নির্ধারিত তারিখ সকাল ৬টার মধ্যে সবাইকে শহরের পুরোনো থানায় সমবেত হওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। শেষ মাঘের কনকনে শীত মাড়িয়ে তরুণ কর্মীদের বেশিরভাগ যথাসময়ে উপস্থিত হলেও সিনিয়র সদস্যরা শীতের আমেজ কাটিয়ে যাত্রাস্থলে আসতে যথেষ্ট দেরি করলেন। এই দেরিতে বিরক্তি সহসাই দূর হয়ে গেল। যখন দেখা গেল ডা. দীন মোহাম্মদ, সামিউল হক মোল্লা ও আসলামুল হক আসলাম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। ডা. দীন মোহাম্মদের স্ত্রী সালমা বেগম, সাইফুল হক মোল্লার স্ত্রী মেহফুজা হক কলি, সামিউল হক মোল্লার স্ত্রী জেবুন্নেছা জেবু, আসলামের স্ত্রী রেহেনা পারভীন আইরিন, উন্মুল খায়ের দীপা, ফৌজিয়া জলিল ন্যান্সি, নার্গিস আরা পপি, শাহীন সুলতানা ইতি প্রমুখ সঙ্গে করে সুহৃদ সদস্যদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত খাবার নিয়ে আসেন। এক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের গাড়ি মেঘনা নদীর ভৈরব-আশুগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু অতিক্রম করে। বাসের তরুণ সদস্যরা বিভিন্ন লোকজ ও আধুনিক গানের সঙ্গে নৃত্য করতে করতে নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। পুরো চার ঘণ্টা বিরতিহীন যাত্রা শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সবুজ অরণ্য অতিক্রম করে আমরা পৌঁছি কমলগঞ্জের শমসেরপুরে। সেখান থেকে সঙ্গী হন সাংবাদিক মো. মজিবুর রহমান রঞ্জু। তার গাইডে আমরা প্রথমে যাই বাংলাদেশ ও উত্তর ত্রিপুরার কাঁটাতারের সীমান্ত সংলগ্ন চাকলাপুর বর্ডারে। শমসেরনগরে এসে মধ্যাহ্নভোজ সেরে নিই। তারপর চলে যাই মাধবপুরের লেক পয়েন্টে। সেখানে সুউচ্চ পাহাড়, চা বাগান আর অপরূপ লেকের স্বচ্ছ জলের ছোঁয়ায় সবাই উচ্ছল হয়ে ওঠে। সূর্য ডুবুডুবু লগ্নে সবাই অনুভব করেন ঘরে ফেরার তাড়া। সবার সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয় একটি অঘোষিত কুইজ প্রতিযোগিতা। সারাদিনের ক্লান্তির পর নাচ, গান, আবৃত্তি, লোকজ ধাঁধা, কৌতুক ইত্যাদি পরিবেশনা শেষে সন্ধ্যায় ফিরতি যাত্রা শুরু এবং পথে পথে চা-বিরতির মধ্য দিয়ে রাত ১২টায় সবাই স্বস্তি নিয়ে কিশোরগঞ্জ ফিরে আসেন। এই আনন্দ শিক্ষা সফর ও আনন্দযাত্রায় অংশ নেন আফরোজা বেলি, জেবুন্নেছা জেবু, এসডি রুবেল, মুন্না, শাহীন, শ্রাবন্তী, জয়িতা পাল, বর্ষা, লিয়া, শ্বেতা, মাইশা, তাইফা, আল প্রমুখ। া
হকিশোরগঞ্জ অফিস